শুভেন্দু-ঝড় দেখল খড়গপুর। রবিবার গােলবাজারের ভাণ্ডারিচকে খড়গপুর সদরে বিজেপি প্রার্থী হিরণের সমর্থনে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরে রবীন্দ্রপল্লী ও তালবাগিচায় রােড শাে করেন প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে।
গােলবাজারের সভায় তৃণমুল কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ সরকার এবং তৃণমূল নেত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে প্রদীপের জয়ের পিছনে শুভেন্দুর বহু ভূমিকা ছিল।
সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, প্রদীপের সমর্থনে খড়গপুরে প্রচারে আসেননি মমতা বেগম বন্দ্যোপাধ্যায় বা তােলাবাজ ভাইপাে। ওরা ভেবেছিল খড়গপুরে জিততে পারবে না। তাই আসেনি। প্রদীপকে আমি নৌকা পার করে দিয়েছিলাম।
কিন্তু ভােট পর্ব মেটার পরেই আমাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই জায়গায় আনা হয় সুব্রত বক্সিকে। জিততে গেলে শুভেন্দুকে লাগে, জিতে গেলেই ভুলে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এটা প্রদীপ সরকার জিতল না হারল তার নির্বাচন নয়। এটা পশ্চিমবঙ্গ আগামী দিনে বাংলাদেশ হবে কিনা তার নির্বাচন।
শুভেন্দু বলেন, আপনি ঠ্যাং দেখাচ্ছেন। রিপাের্ট কার্ড দেখান। দশ বছরে কি উন্নয়ন হয়েছে, কতজন বেকারের চাকরি হয়েছে। ২ কোটি কোর তৈরি হয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, বিজেপি কর্মীরা প্রদীপের জয়ের পর আফশােস করত।
তারা বলত কোথা থেকে এসে বরবাদ করেছিল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রদীপ প্রচার করছে, আমাকে পাবেন, হিরণকে জেতালে পাবেন না। এটা কাউন্সিলর নির্বাচনের প্রচার বলা যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার বলা যায় না। হিরণের প্রশংসা করে শুভেন্দু বলেন, ও খুব বিশ্বাসযােগ্য এবং পরীক্ষিত সাংস্কৃতিক কর্মী। হিন্দিভাষী, তেলেগুভাষী, উড়িয়াভাষী, গুরমুখীতে যারা কথা বলেন সবাইকে বহিরাগত বলছেন।
হিরণ কোনও প্রতিশ্রুতি দিলে সেই প্রতিশ্রুতি রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। শুভেন্দুর সভায় অনেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দেন। নিঃসন্দেহে চাপের জন্য প্রদীপ। সেই চাপ আরও বাড়ল শুভেন্দুর।