রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বঙ্গ ভােটের ইস্তেহার প্রকাশ করবে বিজেপি। তার আগে শনিবার একুশের ভােটের ইস্তেহার প্রকাশ করল বামেরা। তবে এই ইস্তেহারে তৃণমূলের মতাে কোনও চমক নেই। ইস্তাহারে রয়েছে ক্ষমতায় এলে বামেরা চিটফান্ডের টাকা ফেরত সেই সঙ্গে চিটফান্ডের কর্মকর্তা ও তাদের সহযােগীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা। এছাড়া জনগণের হাতে তাদের গচ্ছিত টাকা তুলে দেওয়ার সর্বাত্মক প্রয়াস গ্রহন করা।
ইস্তেহারে রয়েছে এ রাজ্যে কর্মসংস্থান নতুন করে সৃষ্টি করার প্রসঙ্গ। সমস্ত সরকারি শূন্য পদ পূরণ করা প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচচমাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়ােগের পরীক্ষা নিয়মিত হবে। মেধা তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। পুরাে প্রক্রিয়াটি হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে ও গ্যারান্টি সহকারে।
বেসরকারি ক্ষেত্রেও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়ােগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। একশ দিনের কাজের প্রকল্প গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে প্রসারিত করা হবে। একশ দিনের পরিবর্তে দেড়শ দিনের কাজ দেওয়া হবে এবং মজুরির পরিমাণও বৃদ্ধি করা হবে। উল্লেখ্য এই ইস্তেহার শুধু বামফ্রন্টের, সংযুক্ত মাের্চার নয়। কংগ্রেস আলাদা করে ইস্তাহার প্রকাশ করবে। আইএসএফ এখনও জানায়নি তারা ইস্তাহার প্রকাশ করবে কিনা।
বামেদের ইস্তাহারে কোনও চমক নেই। ভােটটা চমকে দেওয়ার জন্য নয়। বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে ইস্তাহার। দশ বছরে বাংলার অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বিজেপির জুমলা নয়। বর্তমান পরিস্থিতির উপর বিচার করে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বামেরা এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।