গােটা ট্রেলারটির সময়সীমা তিন মিনিট। কিন্তু তাতে রিয়া চক্রবর্তীর উপস্থিতি হাতে গােনা কয়েক সেকেণ্ড। সুশান্ত কাণ্ডের ঝড়, নাকি অন্য কোনও কারণ- ঠিক কী কারণে রিয়ার উপস্থিতি এত কম ট্রেলারে? সে ব্যাপারে মুখ খুললেন ছবির পরিচালক রুমি জাফরি ও প্রযােজক আনন্দ পণ্ডিত।
আনন্দের কথায়, রিয়ার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। ওর পাশে আছি। চেহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ রিয়া। আমি খুশি যে ছবির প্রচারের জন্য রিয়াকে বাদ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে রুমি জাফরির কথায়, প্রথম থেকেই রিয়াকে প্রমােশনের শেষ অংশে রাখার কথাই ভাবা হয়েছিল।
রুমি জানান, চেহরেতে রিয়ার চরিত্রটি ছােট। তাই সুশান্ত কাণ্ড না হলেও রিয়াকে এখন যতটা দেখা যাচ্ছে তখনও ততটাই দেখা যেত। রুমি বলেন, কোনও কিছু প্রমাণ করার জন্য তাে আমরা রিয়ার স্ক্রিন প্রেজেন্স আমরা ইচ্ছে করে দীর্ঘায়িত করতে পারি না।
প্রসঙ্গত ট্রেলারে কিছু সেকেন্ডের জন্য রিয়া জায়গা পেলেও টিজার এবং ছবির পােস্টারে দেখা যায়নি তাকে। সে প্রসঙ্গে এর আগে আনন্দ বলেছিলেন, আমরা এই মুহূর্তে রিয়ার ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমরা সঠিক সময়ে তার বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেব। এই মুহূর্তে আমি আর কিছু বলতে পারি না। গতকাল মুক্তি পেয়েছে চেহরের ট্রেলার। এখনও পর্যন্ত ট্রেলারের প্রতিক্রিয়া ভালােই। ট্রেলারটি আদ্যোপান্ত সাসপেন্সে মােড়া। অ্যাকশনের মােড়কে গাঁথা থ্রিলারটিতে অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রটি বেশ আকর্ষণীয়।
এক ক্রিমিনাল আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বরফে ঘেরা এক পাহাড়ে তিনি বন্ধুদের নিয়ে মক ট্রায়াল করে থাকেন। সেই মক ট্রায়ালে ইমরান হাশমিকে দেওয়া হয় অপরাধীর চরিত্র। আর সেখান থেকেই সাসপেন্সের সূত্রপাত।
দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে রুমির বক্তব্য– অনেক কষ্ট করে একটা থ্রিলার বানিয়েছি। একেবারেই মৌলিক একটি গল্প। অন্য কোনও ছবি থেকে অনুপ্রাণিত নয়। পরিচালক হিসাবে বচচন সাহেবের সঙ্গে কাজ করা আমার স্বপ্ন ছিল। আমি খুশি যে অবশেষে তা সম্ভব হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৯ এপ্রিল মুক্তি পাবে ছবিটি।