• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার চেষ্টা

বুধবার সকালে দুর্গাপুরের এনআইটি ৭ নম্বর গেট সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বছর পঁচিশের এক মহিলা ও তার তিন বছরের ছেলেকে উদ্ধার করা হয়।

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

বুধবার সকালে দুর্গাপুরের এনআইটি ৭ নম্বর গেট সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বছর পঁচিশের এক মহিলা ও তার তিন বছরের ছেলেকে উদ্ধার করা হয়। আই, আর,বি’র এক জওয়ান ওই মহিলাকে উদ্ধার করে, দুর্গাপুরের মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। মহিলার নাম সান্নিা বিবি ও ছেলের নাম রানা। মহিলার থেকে জানা যায়, তার শ্বশুরবাড়ি রানীগঞ্জে, ও বাপের বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে।

সাত বছর বিয়ে হয়েছে তাদের এবং তাদের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তানও আছে। প্রেম করে বিয়ে হয়ে অঞ্জনা হাজরা থেকে হয়ে ওঠেন সান্নি বিবি। স্বামীর নাম মহম্মদ সমীর, সবাই তাকে রাজা বলে ডাকে। মহিলার বক্তব্য, একদিন আমার স্বামীর ফোন আসে আর সেটা ধরি আমি। আমায় বলে আর্মি রাজার বউ। তারপর আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে জানতে চাই, ফোন যে করেছিল সে কে?

এরপর আমি ওর ফোনে দেখি বউয়ের ও মেয়ের ছবি। আর সেখান থেকেই শুরু হয় অশান্তি। আমার স্বামীর ভাইরা আমার ওপর অত্যাচার শুরু করলাে বাড়ি না গেলে মেরে ফেলার ধমকানি ও দিল তারপর ওর ভাল্লা পরামর্শ দিল সান্নিধ্য ও তার ছেলেকে মেরে ফেল। কাল দেখি ওর পকেটে একটি ছুরি।

আমি ছুরিটি চুরি করে কুয়েতে ফেলে দিই। তারপর আরাে একটি ছুরি আনে বাজার থেকে, সেটি ডিগ্রিতে ভরে রেখে দেয় তা আমি জানতাম না। তারপর আমায় এসে বলে আমার তাে স্ত্রী, মেয়ে আসবে অশান্তি হবে তুমি থাকলে, তােমায় বাপের বাড়ি রেখে আসি। আমিও রাজি হয়ে যায়।

আজ সকালে যাওয়ার সময় দুর্গাপুরের রাস্তায় কাদার মধ্যে গাড়ি আটকে যেতে, আমায় ঠেলতে বলে। আমি ঠেলতে গিয়ে জুতা ছিড়ে যায়। জুতাে কুড়াতে গিয়ে পিছন দিক থেকে আমায় ছুরি মেরে চলে যায় । আমি অনেক বার বললাম রানার বাবা দাড়াও! কিন্তু সে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। পুলিশ মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সমীর ও তার ভাইদের খোঁজার চেষ্টা করছে!