মহারাষ্ট্রের কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষেই চিন্তাজনক বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে আলােচনার পরই কঠোপর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ইতিমধ্যে কোভিড পরিস্থিতি মােকাবিলায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় রাতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের কয়েকটি জায়গায় সাধারণের গতিবিধির ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি শুরু হওয়ায় মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেন, কোভিড পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষেই চিন্তাজনক।
তিনি কয়েকটি জেলায় প্রয়ােজন হলে লকডাউন করা যেতে পারে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি প্রয়ােজন হয়, তাহলে কয়েকটি জেলায় লকডাউন চালু করা যেতে পারে। জেলা প্রশাসনকেই লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে কোভিড নির্দেশাবলী মেনে চলতে হবে। যদি কেউ না মানে হলে জরিমানা করা হবে।
দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে মুম্বইয়ে গত কয়েক সপ্তাহে কোভিড সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। কেভিড পর্বে সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আজ ১১,১৪১ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত ২২.২ লাখ সংক্রামিত হয়েছেন।
রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে দায় চাপানাে হলেও সরকারের দিক থেকেও যে আত্মতৃপ্তির একটা ব্যাপার ছিল তা স্বীকার করে নিয়ে তােপে বলেন, ‘মানুষ বিষয়টাকে লঘু করে নিতে শুরু করেছিল। প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও একটা আত্মতৃপ্তির ভাব চলে এলেছিল। ৫১ টি নতুন কোভিড সংক্রামিতের খবর পেয়েই ১ মার্চ ১৭ মার্চ মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। পুণেতেও কার্ফু জারি করা হয়েছে, ১৪ মার্চ পর্যন্ত তা জারি থাকবে।