• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বড়বাজারে বিধ্বংসী আগুনে মৃত সাত

পূর্ব রেলের সদর কার্যালয় এটি। বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অফিস রয়েছে, সেখানেই আগুন লাগে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল।

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

সােমবার সন্ধে তে স্ট্র্যান্ড রােডের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় আগুন লাগে। পূর্ব রেলের সদর কার্যালয় এটি। বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অফিস রয়েছে, সেখানেই আগুন লাগে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল। বহুতল হওয়ায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয় বলে জানা গিয়েছে।

দমকলের কুড়িটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও প্রাণহানি এড়ানাে সম্ভব হয়নি। আগুন তেরাে তলা থেকে ছড়িয়ে পড়ে বারাে তলাতে। লিফট করে নামার চেষ্টা করেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু আগুনে ঝলসে সাত জনের মৃত্যু হয়। এখনও কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে উদ্ধারকারী দল।

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে চার দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এছাড়া দুজন আরপিএফ এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার একজন এএসআইয়েরও মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই আরপিএফের মধ্যে রেলের ডেপুটি কমিশনারের নিরাপত্তারক্ষীও রয়েছেন। মৃতদের পােষাক দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

কারণ আগুনের তাপ এতটাই প্রবল ছিল। পুরাে বিষয়টি বাড়ি থেকেই তদারকি করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব এবং ভয়াবহতা দেখে তিনি নিজেই রাত এগারােটা পনেরাে নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌছান।

রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু দশ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘােষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও দমকলের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের কমিশনার সােমেন মিত্র ঘটনাস্থলে রয়েছে। পুরাে এলাকাটিকে ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেই সঙ্গে দ্রুত উদ্ধার কার্য চলছে।

তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের প্রতি শােক জ্ঞাপন করেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষঃ দ্বিদেবী এবং দমকল দফতন্ত্রে ডিজি মনােজ আগরওয়ালও এদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন। মৃতদের পরিবার পিছু একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘােষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যসরকারের তরফে এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও রেলের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।

যদিও এই বহুতলে রয়েছে আরপিএফ, আইজি, চিফ ফিনান্স কমিশনার, চিফ সিগন্যাল এন্ড টেলিকমিউনিকেশন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার-সহ বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষকর্তাদের অফিস।

এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলের রিজার্ভেশনের মূল দপ্তরটি এখানে। প্রাথমিক অনুমান, দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন লাগতে পারে। বহু নথি নষ্ট হয়েছে বলে অনুমান।