২০১৮ সালে ইস্তানবুল দূতাবাতে মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসােগি হত্যা সম্পর্কিত একটি রিপাের্ট প্রকাশ করল মার্কিন প্রশাসন, যেখানে প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডে সৌদি যুবরাজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রিপাের্টটি প্রকাশ হওয়ার পর তুর্কি নাগরিক ও খাসােগির প্রেমিকা হাতিস বলেন, সত্যি ফের প্রকাশ হল। সৌদি যুবরাজকে আর কোনও বিলম্ব না করে শাস্তি দেওয়া উচিত। খাসােগির মৃত্যুতে ব্যক্তিগত ক্ষতির পাশাপাশি, অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে জামাল খাসােগি হত্যায় কোনও বিলম্ব না করে দ্রুত শাস্তি দেওয়া উচিত।
খাসােগির বাগদত্তা হাতিস সেঙ্গিজ টুইট করে লেখেন, সৌদি যুব্রাজই একজন নির্দোষ ও নিরীহ মানুষকে নৃসংশভাবে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল– তাকে আর দেরি না করে শাস্তি দেওয়া উচিত। জামালের ন্যায় বিচারের জন্য আমাদের লড়াই সার্থক হবে তাই শুধু নয়, ভবিষ্যতে যাতে অই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটাও নিশ্চিত হবে।
মার্কিন নাগরিক খাসােগি সৌদি যুবরাজ মহম্মদের কঠোর সমালােচক ছিলেন। ওয়াশিংটন পােস্টে লিখতেন। তাকে ইস্তানবুল দূতাবাসে খুন করে টুকরাে করে ফেলা হয়। খাসােগি দূতাবাসে গেছিলেন সেজিজের সঙ্গে বিয়ের কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘রিপাের্ট প্রকাশিত- আর নিশ্চয় কোনও রাজনৈতিক ন্যায্যতা নেই। যদিও মার্কিন রিপাের্ট এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। সত্যিটা আরও একবার প্রকাশিত হল- এখন নিশ্চিত হল।’
তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এটা যথেষ্ট নয়। সত্যিটা তখনই অর্থবহ হয়ে উঠবে যখন ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে। খুনের মামলায় সৌদি যুব্রাজকে যদি শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে এটা প্রমাণ হবে একটা খুনিকে ছেড়ে দেওয়া হল, যে কিনা আমাদের জন্যও ভয়ের কারণ। মানবিকতার ওপর একটা দাগ।’
সৌদি প্রশাসন অবশ্য বলেছে, খাসােগির হত্যা কান্ড নিয়ে সাম্প্রতিক কোনও তথ্য নেই। যদিও তারা খুন হওয়ার ঘটনার দায় নিয়েছে কিন্তু ঘটনায় যুবরাজ জড়িত নয়, কোনও দুর্বত্ত হত্যা করেছিল।