• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ভিড় সামলাতে নাস্তানাবুদ নেতারা

ব্রিগেডে জনস্রোত এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে মুগ্ধ করবেন। কিন্তু ব্রিগেডের সেই জনতাকেই সামলাতে রীতিমতাে হিমশিম খেতে হল বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের।

বিজেপি ব্রিগেড (ছবি: SNS)

বঙ্গ বিজেপির নেতারা চেয়েছিলেন ব্রিগেডে জনস্রোত এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে মুগ্ধ করবেন। কিন্তু ব্রিগেডের সেই জনতাকেই সামলাতে রীতিমতাে হিমশিম খেতে হল বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের। এই ঘটনা এক বার নয় একাধিক বার ঘটল। এমনকি জনতাকে সামলাতে একের পর এক সমাবেশ মঞ্চে উঠতে দেখা গেল বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘােষকে।

কিন্তু তাদের কথাতে কাজ না হওয়ায় শেষে রাশ ধরলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি টানা তিন মিনিট ধরে জনতাকে মিষ্টি কথায় বেঝালেন। তাতে কিছুটা হলেও কাজ হয়েছিল। বিজেপি নেতাদের দাবি ছিল প্রায় ১০ লক্ষ লােকের জমায়েত করবেন ব্রিগেডে। অতটা ভিড় না দেখা গেলেও বিজেপি নেতাদের বলতে শােনা গিয়েছে, মাঠের ভিতরে যত ভিড়, তার চেয়ে অনেক বেশি মাঠের বাইরে।

তবে সেই মাঠের মধ্যের ভিড় সামলাতেই রীতিমতাে উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেল বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের ব্রিগেডের মঞ্চে যখন শুভেন্দু অধিকারী ওঠেন তখনই ঠেলাঠেলি শুরু হয় ময়দানে। সংবাদ মাধ্যমের জন্য সংরক্ষিত জায়গায় পিছন থেরে জনতাকে সামনে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। তা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন বিজেপি নেতারা।

বাবুল সুপ্রিয় মাইকের সামনে এসে জনতাকে বার বার শান্ত হতে বলেন। এরপর লকেট মাইকের সামনে এসে জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মা বােনেদের বলছি আপনারা দয়া করে সুন্দর ভাবে বসুন। যে যেখানে আছেন বসে পড়ুন। ওই ভাবে চেয়ার তুলবেন না সামনে এগিয়ে আসবেন না।

তবে ময়দানের ঠিক কোনও জায়গাটাতে জনতারা জটলা করছিলেন তা মঞ্চের নিচ থেকে ক্যামেরায় ধরা না পড়লেও বিজেপি নেতাদের মুখের ভাব দেখে স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছিল যে এই বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। নরেন্দ্র মােদির আসার সময় যত এগােচ্ছিল তত বিজেপি নেতাদের উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। যাতে মােদি আসার পর তাকে এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।

লকেটের কথায় কোনও কাজ হচ্ছে না দেখে আসরে নামেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ। তিনি বেশ কড়া ভাবেই জনতাকে শান্ত হতে বলেন। দিলীপ ঘােষকে বলতে শােনা গিয়েছে, ‘মাঠে ভিড় অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। আপনারা ব্যারিকেড ডিঙিয়ে ভেতরে ভেতরে ঢুকবেন না। সবকিছুর একটা সীমা আছে।

কিন্তু দিলীপের ধমকেও কাজ হচ্ছে না দেখে তারপর আসরে নামেন বাংলার বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টানা ৩ মিনিট ধরে তিনি মিষ্টি কথায় জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তার কথাতে কাজ হয়।

এরপর তিনি মঞ্চে ঢেকে নেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। মিঠুনের বক্তৃতা চলাকালীন জনতা একটু শান্ত হলেও মােদি ঢােকার মুখে ফের শুরু হয় গণ্ডগোেল। ফের জনতাকে সামলাতে মাইকের সামনে আসতে হয় বাবুল সুপ্রিয়কে। এদেখে অনেকেই বলছেন, বিজেপি নেতাদের কাছে ব্রিগেডে ভিড় জমানাে যত সহজ, তার চেয়েও কঠিন সেই ভিড় সামলানাে।