আজীবন তিনি বামপন্থী মনােভাবাপন্ন। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় তার নাম রয়েছে। হুগলির বলাগড় কেন্দ্রে এবার তিনি। মমতার তুরুপের তাস। দলিত জীবনের নানা পর্ব বাধা অনুসঙ্গ বারবার তাঁর লেখনিতে উঠে এসেছে। ২১টি গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম দেখে কি ভাবছেন তিনি।
এমনই প্রশ্ন করা হয়েছিল এই লেখককে। মনােরঞ্জনের কথায় আমি ফ্যাসিবাদ, পুরুষতান্ত্রিকতা, পুঁজিবাদ, সাম্প্রদায়ীকতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়েছি। দিদি আমাকে প্রার্থী করেছেন আমাকে নতুন প্ল্যাটফর্ম দিলেন। আসলে আমরা যারা মানুষের দুর্দশার সঙ্গে পরিচিত তা নিবারণ করার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই।
কিন্তু যদি সত্যি ক্ষমতার অংশীদার হতে পারি তাহলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবাে মানুষের দিকে। এতদিন বাবুরা জিতে এসেছে এবার নিচু তলার মানুষ লড়াইয়ের ময়দানে। যদি নিচু তলার মানুষ জিততে চান তাহলে। তারাই আমাকে জেতাবেন।
১৯৮১ সাল তার রিকশায় চড়েছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। সেদিন এই রিকশাওয়ালা প্রশ্ন করেছিলেন মহাশ্বেতা দেবীকে দিদি জিজীবিষ্কা শব্দের মানে কি চমকে উঠেছিলেন লেখিকা। তারপর খানিক কথাবার্তার পর সে আগুন্তুককে নিজের পত্রিকায় লিখতে বলেছিলেন।
এভাবেই শুরু হয়েছিল মনােরঞ্জন ব্যাপারীর লেখক জীবন। বাংলাদেশের উদ্বাস্তু পরিবার থেকে আসা মনােরঞ্জন শৈশবে গরু চরিয়ে জনমজুর খাটার কাজ করেন। পালিয়ে গিয়েছিলেন অসমে। সেখান থেকে উত্তর প্রদেশ। তারপর ফিরে আসেন এই রাজ্যে।
যাদবপুরের মােট বওয়ার কাজ করতেন। স্টেশনে শুয়ে রাত কাটাতেন। আশু মজুমদারের মতাে কমিউনিস্ট নেতার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। দেখতেন দিন বদলের স্বপ্ন। এবার সেই স্বপ্নের উপর ভর করে তিনি মমতার দলের প্রার্থী।