প্রখর রৌদ্রে দুপুরে ঘোরাঘুরি করলে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়ে। কিন্তু বাচ্চাদের বিশেষত পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদের শরীরের ভিতর ও বাইরে তাপমাত্রার সমঞ্জস্যের থার্মোস্ট্যাটিক সিস্টেম ঠিকমত তৈরি হয় না বলে এই গরমে বাচ্চাদের জ্বর হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। অত্যধিক জ্বরে বাচ্চা জ্ঞান হারাতে পারে বা তড়কা বা খিঁচুনি হতে পারে। তাই জলপটি দিয়ে বা ঠান্ডা জলে স্নান করিয়ে তাপমাত্রা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে।তবে কখনোই বরফ বা বরফ ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন না।এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা আছে।অনেকেরই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে, সেক্ষেত্রে সামান্য গরম জলে স্নান করাতে পারেন।
অনেক শিশুরই অ্যালার্জিজনিত সর্দিকাশি ও জ্বরের প্রবণতা খুব বেশি থাকে।এদের অনেকেই গলায় ব্যথা ও টনসিলের সমস্যায় ভোগে,কিন্তু এজন্য কখনোই দোকান থেকে কিনে যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না।তাছাড়া ভাইরাল সংক্রমণে এন্টিবায়োটিক খাইয়ে খুব একটা লাভও হয় না।উল্টোদিকে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কর্মক্ষমতা কমে যায়।তাই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না।আর গলাব্যথার সঙ্গে জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
গরমের আর এক সাধারণ অসুখ হল ডায়েরিয়া।আসলে গ্রীস্মের এই গরমে পেটের অসুখের জীবাণুর দ্রুতসংখ্যা বৃদ্ধি করে।এরপরে প্রচন্ড গরমে বাইরের অপরিচ্ছন্ন খাবার ও জল থেকে সহজেই পেট খারাপ হতে পারে।পেট খারাপ হলে দ্রুত বাজার চলতি বা ঘরে তৈরি ওআরএস দিন। শরীরে জলীয় ভাগ যাতে না কমে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বা হাসপাতালে ভর্তি থাকুন।হাসপাতালে স্যালাইন ইঞ্জেকশন দিয়ে জলীয় পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।এই বিষয়ে সাবধান হবেন, হঠাৎ গরম থেকে এসে হিমশীতল জল বা এসি কোনটাই ভালো না।ধীরে ধীরে ঠান্ডার আরাম উপভোগ করুন।