জেট এয়ারওয়েজের বিমানের সংখ্যা কমতে কমতে এখন মাত্র ৩২টিতে এসেছে।মাত্র ৩২ টি বিমান নিয়ে সংস্থাটি তাদের আকাশ যাত্রা বজায় রেখেছে।কারন হল লিজ নেওয়া বিমানগুলোর বকেয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে মেটাতে না পারা।জেট এয়ারওয়েজ তার কর্মীদের বেতনও দিতে পারছে না।বুধবার এরই মধ্যে সংস্থার পরিচালকদের কাছে আরও একটি মারাত্মক খবর এলো যে, বকেয়া না মেটানোয় জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানকে আমস্টারডাম বিমানবন্দরে ইউরোপীয় কার্গো সংস্থা আটকে রেখেছে।বুধবারই সংস্থার পাইলটরা পরিচালকদের নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে,তাদের বকেয়া বেতন না মেটালে আইনি ব্যবস্থা করবেন।এরই মধ্যে দেউলিয়া ঘোষণা করা জেট এয়ারওয়েজের সাহায্যে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় স্টেট ব্যাংক এর নেতৃত্বে বিদেশি বেসরকারি মালিকানাধীন বিমান সংস্থাটির সাহায্যে তার শেয়ার কিনে বাঁচানোর নির্দেশ দিয়েছিল।এই সময় বিমানসংস্থার ভারত অংশের প্রধান নরেশ গোয়েল পরিচালন পর্ষদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে চলে যান।এসময় বেসরকারি বিমান সংস্থাটির তিন-চতুর্থাংশ বিমানই বসে যায়। কারণ তাদের ভাড়া মেটানো হয়নি।
সংস্থাটির ১১৯ টি বিমানের মধ্যে মাত্র ৩২ টি চালু ছিল।তার মধ্যে বুধবার আমস্টারডাম বিমানবন্দরে জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমান নং ৭৭৭-৩০০ ইআর(ভিটি-জে ডব্লিউ)বকেয়া না মেটানোর জন্য একটি মাল পরিবহনকারী সংস্থা সেটিকে আটকে রেখেছে। ফলে এখন জেট এয়ারওয়েজের বিমানের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১।এর মধ্যেই তাদের বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোটিশ দিয়েছে।
এখন মুম্বাই থেকে জেট এয়ারওয়েজ তার আকাশ যাত্রা বজায় রাখতে কেবল ৩১টি বিমানের সাহায্য পাবে।২৫ বছরের আকাশ পরিবহনে সংস্থাটি এখন চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে।