শাহজাহানপুর জাতীয় সড়কের ওপর বিবস্ত্র অবস্থায় আগুনে পােড়া ক্ষততে গুরুতর জখম অবস্থায় কলেজ পড়ুয়া এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার শিকার ওই যুবতীর বয়ান মতাে, রাই কেড়া গ্রামের নিকট ঘটনাটি হয়েছে। কলা বিভাগে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই যুবতীকে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাকে লখনউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়েটির ৭২ শতাংশ পুড়ে গেছে।
কলেজ পড়ুয়া যুবতী ঘটনার তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছেন, তিনজন মিলে তাকে মাঠে নিয়ে গণধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। যখন তারা ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়, গায়ে কেরােসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতী মাঝেমধ্যেই নিজের বয়ান পরিবর্তন করছে। সে নিজে এটাও জানে না কিভাবে সে কলেজের তৃতীয় তলা থেকে সােজা হাসপাতালে এসে পৌঁছল।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছে, ‘মেয়েটি কলেজে ঢােকার কুড়ি মিনিট পর একা কলেজের তৃতীয় তলা থেকে নিচে নেমে ক্যাম্পাসের ভাঙা দেওয়াল টপকে বেড়িয়ে যায়। খালের পাশ দিয়ে তাকে একা হেঁটে যেতে দেখা গেছে। কলেজ থেকে বেড়ানাের আগে তাকে ক্লাসের বাইরে ও লাইব্রেরীর বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।’
লখনউয়ের হাসপাতালে ডেপুটি পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি টিম মােতায়েন করা হয়েছে। তার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মেয়েটি ফোন করে গ্রামের একজনকে ঘটনার দিন ডেকেছিল, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।