ব্যাঙের ছাতার মতােই অবৈধ মদের কারখানা গজিয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে। বেআইনিভাবে মদ বিক্রি, প্রকাশ্যে মদ্যপান সবই চলত। আর মদের কারখানাগুলি হয়ে উঠেছিল অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা। সেখানেই গতকাল রাতে হামলা চালায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম। পুলিশ দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ীরা। জখম হন একজন কনস্টেবল ও এক সাব ইন্সপেক্টর।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় ওই কনস্টেবলের। পুলিশ অফিসারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কাশগঞ্জে এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে লাঠি, রাইফেল নিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষ চলছে আততায়ীদের। এলােপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে আততায়ীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মাঝরাত থেকে চলেছে এই গুলির লড়াই।
পুলিশ জানিয়েছে, কাশগঞ্জে অপরাধ বেড়েই চলছিল। অবৈধ মদের কারখানাগুলি দুষ্কৃতীদের আড্ডা হয়ে উঠেছিল। সেখানে বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখা হত কিনা, খোজ চলছে তারও। ওই কারখানাগুলি ভাঙতেই অভিযান চালায় পুলিশবাহিনী।
আততায়ীরা সংখ্যায় যে অনেক বেশি ছিল তা আগে বােঝা যায়নি। পুলিশ কর্মীরা পেরে উঠছিলেন না। আহত হন অনেকে। পরে আরও বড় ফোর্স পৌছয় ঘটনাস্থলে। নাগলা ধিমার গ্রামের কাছে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। আততায়ীদের অনেকেই পলাতক। তাদের খোজ চলছে।
গুলি লেগে প্রাণ গিয়েছে কনস্টেবল দেবেন্দ্রর। সাব ইনস্পেক্টর অশােক গুরুতর জখম। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কোনও রকম অপরাধকেই প্রশ্রয় দেবে না তার পুলিশ। কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যস্থা করবে সরকার।
গতবছর কানপুরের বিকরু গ্রামে কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে ধরতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটেছিল। খুন, অপহরণ, তােলাবাজির মতাে ৫০ টি অপরাধমূলক ঘটনায় অভিযুক্ত বিকাশকে ধরতে গ্রামে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশবাহিনী। কিন্তু আগে থেকেই পুলিশের মধ্যে থেকে কেউ বিকাশকে খবর দিয়ে দেয়। ফলে দলবল নিয়ে প্রস্তুত ছিল বিকাশের বাহিনী।
গ্রামে ঢােকার রাস্তা আটকে তারা প্রথমেই পুলিশকে বাধার মুখে ফেলেছিল। পুলিশ সেখানেই গাড়ি রেখে হেঁটে গ্রামে ঢােকে কিন্তু দুবের বাড়ি পৌছনাে মাত্রই ছাদ থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু করে বিকাশের বাহিনী। ঘটনাস্থলে এক ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও সাত পুলিশকর্মী।