পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবার আশা পোষণ করেছেন, ভারতের সাধারণ নির্বাচনের পর যে নতুন সরকার আসবে তার সঙ্গে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা পক্ষপাতি তিনি। ইমরানের আশা, নতুন সরকার একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দু’দেশের সমস্যা গুলি দেখবে।
দিল্লির সাউথ ব্লক পাক প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছাকে স্বাগত জানালেও ভারত মনে করে না পাকিস্তান তার মনোভাব পাল্টাবে এবং অর্থপূর্ণ আলোচনায় বসবে।ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এমন কোনও ভূমিকা পালন করেননি যাতে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন আসে।যে বিষয়টি জিইয়ে রেখে পাকিস্তান আলোচনায় বসতে চায়,তাহল কাশ্মীর সীমান্তে লাগাতার সন্ত্রাস সৃষ্টি।জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট হয়ে ভারতের সীমান্তে ঘন ঘন হানা দিচ্ছে। এই সন্ত্রাস সৃষ্টি যে পর্যন্ত বন্ধ না হবে সে পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না।সুতরাং পাক প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছের সঙ্গে কাজ করে দেখাতে হবে- অর্থাৎ জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে।পাকিস্তানে একের অধিক জঙ্গি সংগঠন দিনে দিনে বেড়ে উঠছে।সংগঠনগুলি তাদের সদস্যদের জঙ্গি কার্যকলাপে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।পাকিস্তান কোথায় এই জঙ্গি সংগঠনগুলির কাজ বন্ধ করবে, তা না করে তাদের নানাভাবে সাহায্য করছে। অর্থ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই যখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরের ঘটনা, তখন পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করার বাসনা জানিয়েছেন।কিন্তু পাকিস্তান যে পর্যন্ত না সন্ত্রাস বন্ধ করছে এবং জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দেওয়া থেকে বিরত থাকছে,সে পর্যন্ত ভারত কোনও আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেবে না।পাকিস্তান মুখে যা বলে,কাজে তা করে না।সীমান্তে সন্ত্রাস চালিয়ে রেখে আলোচনার টেবিলে বসা যায় না।
ভারত এককথা বারবার বলছে কিন্তু পাকিস্তান আসল কাজটাই করছে না- অর্থাৎ কাশ্মীর সীমান্তে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে এগিয়ে আসছে না।সীমান্তে প্রতিদিনই কোন না কোনও ঘটনা ঘটছে।জঙ্গিহানা রুখছে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীরা।এমন দিন কমই যাচ্ছে, সীমান্তে পাক সাহায্যপুষ্ট জঙ্গিরা ভারত সীমান্তে হানা দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে না।
এই অবস্থায় সাধারণ নির্বাচনের পর যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন,পাকিস্তান তার নীতি না পাল্টালে ভারতীয় দেশের সঙ্গে আলোচনার জন্য এক টেবিলে বসবে না।প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে ও পরে, খান সাহেব ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন,কিন্তু কাজে করে দেখাননি।উল্টে,পুলওয়ামার জঙ্গি হানায় ৪০ জন জওয়ানের প্রাণ গেল।এর পিছনে যে পাক মদত ছিল তা অস্বীকার করা যায় না। ভারত প্রত্যুত্তরে বালাকোট বিমান হানায় জঙ্গি শিবির ধ্বংস করল।তারপর একদিন ক্ষণিক আকাশযুদ্ধ। ভারতের বায়ুসেনা বিমান পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ বিমান ধ্বংস করল।তার ধ্বংসাবশেষের নমুনা ভারতের কাছে রয়েছে।পাকিস্তান যদিও রব তুলেছে তাদের কোন এফ-১৬ বিমান ভারতের বিমান হানায় ধ্বংস হয়নি।
তারপর পৃথিবীর সব দেশই পাকিস্তানকে সন্ত্রাস দমন করতে বলল-কিন্তু পাকিস্তান তাতে সাড়া না দিয়ে,বোবা সেজে বসে রইল।এখন আবার ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে কথা বলার বাসনা।ছলনার শেষ নেই।