এবার থেকে সপ্তাহে মাত্র চারদিন অফিস, তিন দিন ছুটি! জাপান বা ফিনল্যান্ড নয়, ভারতেই অদূর ভবিষ্যতে মিলতে পারে এমন সুযােগ। চাকরিজীবীদের জন্য এমনই আশার খবর শােনাল কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, নয়া শ্রমবিধি লাগু করার তােড়জোড় করছে কেন্দ্র। চলছে খসড়া চূড়ান্ত করার কাজ। শ্রম মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই নয়া বিধিতে সপ্তাহে কাজের দিন কমিয়ে চারদিন করার কথা বলা হয়েছে। তবে কর্মদিবস কমিয়ে চার দিন করা হলেও সব মিলিয়ে সপ্তাহে মােট ৪৮ ঘণ্টা কাজ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র। এর ফলে সপ্তাহে তিন দিন ছুটি কাটানাের সুযােগ মিললেও কাজের দিন প্রত্যেক কর্মীকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
তবে নতুন বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিয়ােগকারী সংস্থা ও কর্মচারী দু’পক্ষকেই একমত হতে হবে। তবেই কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচদিনের বদলে চার দিন কাজ ও তিন দিন ছুটির সুযােগ মিলবে। তবে দু’ক্ষেত্রেই কাজের সময়ের হিসেবে কোনও হেরফের হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রক।
কোনও সংস্থায় কর্মী ও নিয়ােগকারী দু’পক্ষ ঐক্যমতে না পৌঁছলে সেখানে এই নয়া বিধি লাগু হবে না। পাশাপাশি কাজের দিন নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সংস্থার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এবিষয়ে কেন্দ্রের সম্মতির কোনও প্রয়ােজন পড়বে না বলেই স্পষ্ট করেছে শ্রম মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, শ্রম মন্ত্রক শীঘ্রই একটি ওয়েব পাের্টালও লঞ্চ করবে, যাতে ২০২১ সালের জুন মাসের পর থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা সরকারি সমস্ত সুযােগ সুবিধা নেওয়ার জন্য অনলাইনেই নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
শ্রম মন্ত্রক সূত্রে খবর, পরিবহণ ও প্রফেশনাল সেক্টরের কর্মীদের পাশাপাশি গৃহ পরিচারক-পরিচারিকারাও কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত সমস্ত সুযােগ সুবিধা পাবেন। মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্রা বলেন, “আমরা কর্মচারী নিয়ােগকারী সংস্থা কারও উপরই এই নতুন শ্রম বিধি চাপিয়ে দিতে চাইছি না। এতে পুরনাে পদ্ধতিতেও কাজের বিকল্প থাকবে। শুধুমাত্র কর্মীদের উপর থেকে কাজের চাপ কমানাের লক্ষ্যেই এই নতুন শ্রম বিধি।”
তাঁর আরও সংযােজন, ‘এই নয়া শ্রম বিধির খসড়া নিয়ে এখন চুড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়ায় উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং মধ্যপ্রদেশের মতাে রাজও অংশ নিয়েছে।’