৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় নরেন্দ্র মােদির সরকারি কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী।
পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানাে হচ্ছে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) কেও। আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আসতেই শােরগােল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, প্রােটোকল মেনেই কেন্দ্রের কোনও অনুষ্ঠানে রাজ্যের সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানাে হয়। সে কারণেই পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সব সাংসদকেই তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে দলবদলের আবহে এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র নিয়মরক্ষার বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক মহল।
শাসক দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে গােটা অধিকারী পরিবারের। শিশির অধিকারীকে একাধিক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ১০ ফেব্রুয়ারি লােকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাৎ কার কথা তমলুকের সাংসদের। এই খবর সামনে আসার পর জল্পনা শুরু হয়। এবার কি তাহলে সাংসদ পদে ইস্তফা দেনে শুভেন্দুর ভাই? তার আগে মােদির অনুষ্ঠানের দিকে নজর থাকবে গােটা দেশের।
আগামী রবিবার হলদিয়ায় দু’টি প্রকল্পের সূচনা করনে প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে শিলান্যাস হবে একটি প্রকল্পের। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক আয়ােজিত ওই অনুষ্ঠান পুরােপুরি অরাজনৈতিক হলেও, তাৎপর্যপূর্ণ সেদিন আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে দুই মেদিনীপুরের সমস্ত সাংসদকে। অনুষ্ঠানের প্রায় এক সপ্তাহ আগেই আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছিল তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে। তিনি যে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, সে কথাও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন।