• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ফের বিতর্কিত রায় বম্বে হাইকোর্টের, একা গলা টিপে, পােশাক খুলে ধর্ষণ করা অসম্ভব

বিচারপতি গানেদিওয়ালার যুক্তি কোনও একজন লােকের পক্ষে একটি মেয়ের গলা টিপে তার নিজের পােশাক খুলে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়। সেটাও আবার কোনও ধস্তাধস্তি ছাড়া।

বম্বে হাইকোর্ট (Photo: iStock)

ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা। এবার পকসাে আইনে এক যুবককে ধর্ষণের অভিযােগ থেকে বেকসুর খালাস দিলেন তিনি। বিচারপতি গানেদিওয়ালার যুক্তি কোনও একজন লােকের পক্ষে একটি মেয়ের গলা টিপে তার নিজের পােশাক খুলে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়। সেটাও আবার কোনও ধস্তাধস্তি ছাড়া। 

মামলাটি ২০১৩ সালের। যবর্তমালের বাসিন্দা তরুণীর মায়ের অভিযােগ, প্রতিবেশী যুবক সূরজ কাসারকর তার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ঢুকে তার ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি বয়ান দিয়েছিল সূরজ মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে তার গলা টিপে ধরে। তারপর তার ও নিজের পােশাক খুলে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। মেয়েটির মা চলে আসায় তড়িঘড়ি নিজের জামাকাপড় নিয়ে পালায় যুবকটি। 

মেয়েটি মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলার পর তারা পুলিশে গিয়ে অভিযােগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের আইনজীবীর অবশ্য দাবি- ছেলে ও মেয়েটির পারস্পরিক সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। ঘটনার সময় দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল। 

বিচারক গানেদিওয়ালার বক্তব্য, নির্যাতিতার বয়ানে কোর্ট পুরাে বিষয়টিকে বিশ্বাসযােগ্য মনে করছে না। মেয়েটি যা বলেছে তা কোনও একটি মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আর জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয় হলে দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকতাে। মেডিকেল রিপাের্টে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে সহমতের ভিত্তিতেই যৌন সম্পর্কের যুক্তিই জোরদার হচ্ছে। বিচারপতির মতে, আইন অনুযায়ী সাজা যত কঠিন হবে প্রমাণও ততটাই জোরদার হওয়া প্রয়ােজন।