রাস্তা খালি করে দিয়ে আন্দোলন তােলার নির্দেশ এসেছে যােগী আদিত্যনাথের সরকারের তরফে। বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে খালি করে দিতে হবে রাস্তা। কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকরা এই দাবি মানতে নারাজ। তাই শুক্ৰবার সকালেও তারা গাজিপুর সীমান্তে স্লোগান তুললেন–জয় জওয়ান, জয় কিষাণ। আবার পাশাপাশি ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি তুলতেও দেখা যায় তাঁদের।
বৃহস্পতিবারই গাজিপুর প্রশাসনিক এলাকা থেকে কৃষকদের উঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আসে। কিন্তু কৃষকরা এখনও গাজিপুর সীমান্তের তাদের অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে। অন্যদিকে শুধু উত্তরপ্রদেশ সরকার নয়, সিংঘু এলাকার সাধারণ মানুষও গতকাল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের দাবি, গত দু’মাস ধরে দিল্লি সীমান্ত অঞ্চলের রাস্তা আটকে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। ফলে তাদের যাতায়াত করতে অসুবিধে হচ্ছে। তাই কৃষকদের সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হন তাঁরা।
শুক্রবার সকালে দিল্লি পুলিশ জানায়, সিংঘু, গাজিপুর, মঙ্গেশ, আউচান্দিসহ আরও কয়েকটি সীমান্ত অঞ্চল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চলতি সমস্যার কথা মাথায় রেখে। তার বদলে মানুষের যাতায়াতের জন্য অন্য রুট খুলে দেওয়া হয়েছে।
২৬ নভেম্বর থেকে গাজিপুরের রাস্তায় আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকরা।সই সময় থেকে গাজিপুর সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর আন্দোলন চরম রূপ নেয়। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা দিল্লির রাস্তায় ঢুকে পড়েন।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব জানান, কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড়া হবেনা। বুধবার রাতেই বাঘপাত জেলায় আন্দোলনরত কৃষকদের উচ্ছেদ করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় তাঁদের তাঁবু। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দিল্লির সীমান্ত থেকে কৃষকদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গাজিপুর অঞ্চলে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বিরতি দিতে রাজি নন কৃষকরা।