• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

নীতীশের সঙ্গে দেখা করলেন এআইএমআইএম বিধায়করা, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা

ভোট কাটুয়া এআইএমআইএমর জন্যই বিহারে ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ জোট। আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দলের জন্যই ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে পেরেছেন জেডি (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমার।

ভােট কাটুয়া এআইএমআইএমর জন্যই বিহারে ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ জোট। আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দলের জন্যই ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে পেরেছেন জেডি (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমার।

কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযােগ করে আসছে আরজেডি সহ প্রায় সব বিরােধী রাজনৈতিক দল। এবার নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে সরাসরি দলবদলের জল্পনা উস্কে দিলেন এআইএমআইএম-র পাঁচ বিধায়ক। বিষয়টি কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা দেখা গিয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে এআইএমআইএমর সভাপতি আখতার উল ইমামের নেতৃত্বে বাকি চার বিধায়ক মহম্মদ আজহার আসিফ, শাহনওয়াজ আলম, সৈয়দ রুকুনুদ্দিন ও আজহার নায়মি পাটনায় এক নম্বর অ্যানে মার্গে নীতীশ কুমারের বাড়ি যান। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত থাকা বিহারের অপর মন্ত্রী বিজয় চৌধুরীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলােচনা করেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। 

হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দলের পাঁচ বিধায়ক আচমকা জেডি (ইউ) প্রধান ও বিহারে এনডিএ জোটের নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে কেন দেখা রলেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। বিহারের ভােটে দাঁড়িয়ে পাঁচটি আসন জেতার পর পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছিল এআইএমআইএম।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে প্রার্থী দেবে বলেই ঘােষণা করেছিল। আর এর ফলে সংখ্যালঘু ভােটে ভাগ বসিয়ে যেভাবে বিহারে তারা এনডিএ তথা বিজেপি’কে সুবিধে করে দিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গেও তারা সেই খেলা খেলতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও প্রথম থেকেই তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন এআইএমআইএম-র নেতারা। 

কিছুদিন আগেই দলের যুব সংগঠনের প্রতিটি জেলায় যুব সভাপতি তৃণমূলে যােগ দেওয়া পরেও পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করে একসঙ্গে লড়াইয়ের কথা ঘােষণা করেছিলেন ওয়েইসি। কিন্তু বিহারের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও দলবদলের কথা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সীমাচলম অঞ্চলের ওই বিধায়করা নিজেদের এলাকায় উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন বলে জানান এআইএমআইএম-র মহম্মদ আদিল হাসান। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমাচলম অঞ্চলের ওই বিধায়করা নিজেদের বিধায়সভা এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তাছাড়া নীতীশ কুমারের সঙ্গে আমাদের কোনওদিনই বিরােধ ছিল না। আমাদের নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বরাবরই বলে এসেছেন, নীতীশ কুমার বিজেপি’র সঙ্গ ছাড়লেই জেডি (ইউ)-র সঙ্গে তিনি হাত মেলাতে রাজি। তাই নীতীশ কুমারের সঙ্গে আমরা আগামী দিনেও দেখা করব।