• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

পরাক্রম দিবস বনাম দেশনায়ক দিবসের টুইট যুদ্ধ

শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি যে টুইট করলেন, তা থেকে এই দুই রাজনীতিবিদের মধ্যেকার বিপ্রতীপ অবস্থান স্পষ্ট হল। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Photo: IANS)

শনিবার নেতাজিকে নিয়ে টুইট করেছেন নরেন্দ্র মােদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুজনেই সেই টুইট বার্তা থেকেই দুজনের মধ্যে সংঘাতের সুর বাঁধা ছিল। 

শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি যে টুইট করলেন, তা থেকে এই দুই রাজনীতিবিদের মধ্যেকার বিপ্রতীপ অবস্থান স্পষ্ট হল। 

মমতা লেখেন, দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি ছিলেন প্রকৃত নেতা। মানুষের ঐক্যে বিশ্বাসী ছিলেন। আমরা আজকের দিনটাকে দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করছি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হল আজ থেকে। এদিন মমতা হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন দেশনায়ক দিবস। 

অন্যদিকে শনিবার সকালের টুইটে নরেন্দ্র মােদি লেখেন, মহান মুক্তিযােদ্ধা এবং ভারতমাতার সত্যিকারের সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে শত প্রণাম। দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর ত্যাগ এবং আত্মনিবেদন সবসময় স্মরণ করা উচিত। এরপর হ্যাশট্যাগ দিয়ে মােদি লিখেছেন পরাক্রম দিবস। 

নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টুইট করেই ক্ষান্ত হননি। টুইট করেই তিনি জানিয়েছেন রাজারহাটে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। যার নামকরণ হবে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’-এর নামে। এছাড়া নেতাজির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে, যার পুরাে খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশের নানান বিশ্ববিদ্যালয়ের যােগাযােগ থাকবে। 

তৃতীয় টুইটে নেতাজির জন্মদিনের কর্মসূচির কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আরও একবার আর্জি জানান, তেইশে জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘােষণা করুক কেন্দ্র।