নির্বাচনের আগে বাঙলি আবেগে শান দিতে নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালন নিয়ে ইতিমধ্যেই সম্মুখসমরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই ফুল শিবির। এরইমধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের তরফে নেতাজির জন্মজয়ন্তী কীভাবে পালন করা হবে, তা নিয়ে চলছে ‘প্রতিযােগিতা’।
ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। ভিক্টোরিয়া হলে যােগ দেবেন বিশেষ অনুষ্ঠানে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়ােজনও করা হয়েছে যাতে অংশ নেবেন উষা উথুপ, পাপন, সােমলতা এবং অন্বেষা-সহ আরও অনেকে।
জানা গিয়েছে, ওই দিন ঠিক দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আলিপুরের জাতীয় গ্রন্থাগারে এসে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। আর্টিস্ট ক্যাম্প পরিদর্শনের পর যােগ দেবেন একটি আলােচনা সভায়।
ঠিক সােয়া চারটে নাগাদ ভিক্টোরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সাড়ে চারটের মধ্যে সেখানে পৌঁছনাের কথা তাঁর।
নেতাজি নিয়ে তৈরি গানের উপরেই রাজস্থান এবং বাংলার ড্রামবাদকদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানাে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
পাঁচটা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলার ৫০-৭৫ জন শিশুদের দিয়েই। শুরু হবে অনুষ্ঠান ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’।
এরপর মঞ্চে দেখা যাবে ঊষা উথুপকে। তিনি ‘একলা চলাে রে’ গান পরিবেশন করবেন।
ঠিক তারপর ‘সুভাষজি সুভাষজি’ গান পরিবেশন করবেন পাপন। ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা’ গান পরিবেশন করনে সৌম্যজিৎ এবং সৌরেন্দ্র।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে পাঁচটা একুশ মিনিট নাগাদ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন হবে। তারপর একে একে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দেবেন।
পাঁচটা একচল্লিশ মিনিট নাগাদ ‘লেটার অফ নেতাজি (১৯২৬-১৯৩৬)’ বই প্রকাশ হবে ওই মঞ্চে। দশজন শহিদকে সম্মান জানানাে হবে।
পাঁচটা সাতান্ন নাগাদ বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ ওই মঞ্চে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করলে একাধিক শিল্পী। উষা উথুপ, পাপন, সৌম্যজিৎ, অন্বেষা, সােমলতা-সহ আরও অনেকেই যােগ দেবেন তাতে।
অনুষ্ঠান শেষে সন্ধে সাতটা বাজতে এক মিনিট আগে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।