প্রত্যাশামতােই নতুন দলের ঘােষণা করলেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি । যার ফলে রাজ্যে নতুন রাজনৈতিক সমীকরনের জন্ম হল। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে আব্বাস সিদ্দিকি তাঁর দলের নাম ও পতাকা প্রকাশ্যে আনেন। মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতেই এই দল গড়া বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদার বাঙালি মুসলিম ও সংখ্যালঘু যুব সম্প্রদায়ের উপর উল্লেখযােগ্য প্রভাব রয়েছে। মগরাহাট, ক্যানিং, আমতলা, ডায়মন্ড হারবার সহ হাওড়া-হুগলির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন সময় ধর্মীয় সভা, জলসা করেন আব্বাস সিদ্দিকি।
২০১৯ সাল থেকে রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় হয়েছেন আব্বাস। গঠন করেন ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাতুল জন্নত নামে একটি সংগঠন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, তৃণমূলের সমর্থনে নির্বাচনে লড়াই করবেন তিনি। তাঁকে দলে টানতে চেয়ে পীরজাদার দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও সাড়া মেলেনি। শেষে ওয়েইসির সমর্থনে নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা জানান পীরজাদা। এরপরই এ দিন দল গঠনের ঘােষণা করলেন তিনি।
আব্বাস সিদ্দিকি’র নয়া দলের নাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তাদের পতাকায় রয়েছে দুটি রঙ। নীল এবং সবুজ। তবে দলের প্রতীক এখনও সামনে আনেননি তিনি। দলের চেয়ারম্যান হয়েছেন আব্বাসের ভাই নৌসাদ সিদ্দিকি।
এ দিন আব্বাস জানিয়েছেন, অনেকেই আছে যাঁরা নিজেদের নিরপেক্ষ বলেন। কিন্তু আদপে কাজে তা প্রমাণিত হয় না। শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু সমাজেরও বহু পিছিয়ে পড়া মানুষ আছেন। তাঁদের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতেই এবার বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতেই প্রার্থী দেবেন তাঁরা। আব্বাসের পাখির চোখ দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়ার একাংশ। তাদের আরও দাবি, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নির্বাচনে লড়াই করলে অন্যান্য দলের ভােটব্যাংকে সরাসরি তার প্রভাব পড়বে।
