অগভীর ঘুমের কারণে মস্তিষ্কে এক প্রকার প্রােটিন বাড়ে। উচ্চমাত্রার এই প্রােটিন অ্যালঝাইমার্স রােগের পূর্ব লক্ষণ। যার ফলে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস হতে পারে অথবা জ্ঞান সম্বন্ধীয় ক্ষমতা কমে যেতে পারে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ঘুমের সঙ্গে আলঝাইমার্স রােগের সম্পর্ক উদঘাটন করতে গবেষকরা ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের ১০ জন। ব্যক্তির উপর গবেষণা করেছেন। গবেষকরা এক সপ্তাহব্যাপী নির্দিষ্ট সময়ে গবেষণার অংশগ্রহণকারীদের ঘুম পর্যবেক্ষণ করেছেন।
ঘুমন্ত অবস্থায় মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাণ করতে তাদের । মাথার সম্মুখ দিকে পাের্টেবল ইইজি মনিটর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল । এছাড়া ছিল রিস্ট ওয়াচের মতাে একটি সেন্সর , যা শরীরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারে ।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাদের ঘুম অগভীর ছিল, তাদের ব্রেইনে ‘টাও’ নামে একপ্রকার প্রােটিনের উচ্চমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে। একই সঙ্গে তাদের মস্তিষ্কের সেরিরব্রোস্পাইন্যাল ফ্লুইডের এবং অ্যামাইলয়েডের অনুপাতের মাত্রাও ছিল বেশি।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্লিপ মেডিসিন সেন্টারের সহকারী অধ্যাপক ব্রেন্ডন লুসি বলেছেন, গবেষণায় অংশগ্রহকারীরা কী পরিমাণ ঘুমিয়েছিলেন, তা দেখা যায়, যারা রাতে বেশি ঘুমিয়েছিলেন, তাদের ব্রেইনে ‘টাও’ প্রােটিনের উপস্থিতি বেশি ছিল।
এর কারণ হিসাবে অংশগ্রহণকারীদের ঘুমের প্রকৃতি ও গুণমান ভালো ছিল না বলে জানান প্রধান গবেষক লুসি। তিনি আরও বলেন, ঘুম মানসম্মত না হলে ব্যক্তির স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি হ্রাস সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন জার্নালে গবেষণাটি উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ।