এবার গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের ভাইদেরও তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর এনামুল হকের তিন ভাই থাকে বিদেশে। তারাও দাদার বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমনকি টাকা আদান প্রদানের ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ছিল। তাই এদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়ােজন রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই এনামুলের ম্যানেজারের মাধ্যমে এদের কাছে নােটিশ পাঠান হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা ভােটের আগেই কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জালে তুলতে চাইছে সিবিআই। তাই সিবিআই-এর এই বিষয়ে তৎপরতা তুঙ্গে।
দুই পাচারের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর পাশাপাশি ধৃতদের টানা জেরা করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে সিবিআই। এই জেরার মাধ্যমে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের পরবর্তী ধাপে পৌছতে কাজ করছে সিবিআই।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সিবিআই জানতে পেরেছে গরুপাচার চক্রে মূল পাণ্ডা এনামুল হকের বিদেশে থাকা ভাইরা এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। এদের মাধ্যমেই বিএসএফ, পুলিশ সহ একাধিক মহলে টাকা পৌছানাের কাজ চলত। তাই সিবিআইয়ের আতসকাচের তলাতে এবার তারাও। নােটিশ পাঠিয়ে এনামুলের তিন ভাইকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
সিবিআই হেফাজতে এনামুলকে আসানসােলে বিশেষ সিবিআই সেলে রাখা হয়েছে। তাকে বার বার জেরা করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, মূলত সিবিআই তার কাছে জানার চেষ্টা করছে। কাদের সাহায্য নিয়ে সে এত বড় একটা চক্র চালাত। কাদের এনামুলের যােগাযােগ ছিল। গরুপাচার চক্রে এনামুলের সঙ্গে যােগসাজসের।
অভিযােগে প্রাক্তন বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও আপাতত জামিনে ছাড়া পেয়েছেন সতীশ কুমার। এনামুলের জামিন অবশ্য একাধিক বার খারিজ হয়েছে। সিবিআই-এর বক্তব্য, এনামুল জামিনে ছাড়া পেলে তদন্ত প্রভাবিত হবে। এই পরিস্থিতিতে তাকে হেফাজতে রাখাকালীনই এই পাচার কাণ্ডের কিনারা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।