ভারতীয় সেনাদের নিয়ে গর্ব করে গোটা দেশ। অথচ সেই সেনা বাহিনীকেই ‘মোদির সেনা’ বলে বিতর্ক তৈরি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যা নিয়ে উত্তাল হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। বিরোধী শিবির থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে সকলেই।এবার মোদি সেনা মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নজরে পড়েছেন যোগী। সেনা বাহিনীকে কেন ‘মোদির সেনা’ বলেছেন এই নিয়ে তাঁর কাছে জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
ঘটনার সূত্রপাত, রবিবার গাজিয়াবাদের নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় জওয়ানদের ‘মোদির সেনা’ বলে ব্যাখ্যা দেন যোগী আদিত্যনাথ। ভাষণ দেওয়ার সময় যোগী বলেন, ‘কংগ্রেসের লোকেরা জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াতো আর ‘মোদির সেনা’ জঙ্গিদের গুলি মারছে। কংগ্রেসীরা মাসুদ আজহারের মতো জঙ্গিদের পাশে ‘জি’ লাগিয়ে সম্বোধন করে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্র্য় দেয়। এটাই পার্থক্য’। যোগীর এই বক্তব্যকে মোটেও ভালভাবে নেয়নি বিরোধীরা। কংগ্রেসের তরফ থেকে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠেছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে ট্যুইটারে ক্ষোভ উগরে লেখেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় সেনাকে ‘মোদি সেনা’ বলেছেন দেখে আমি স্তম্ভিত। ভারতীয় সেনার নাম দখল করে এই ধরণের রাজনীতি করে অসম্মান করা হচ্ছে’।অপর একটি ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব।তাঁরা সবার। ওঁরা আমাদের দেশের সম্পদ। একা বিজেপির নয়। দেশের মানুষের উঠে দাঁড়িয়ে এই ধরণের মন্তব্যের বিরোধিতা করা উচিত’।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য শুনে টনক নড়েছে নির্বাচন কমিশনের।গাজিয়াবাদে জেলা নির্বাচনী অফিসকে আগামীকাল দুপুরের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই মন্তব্য করে যোগী আদর্শ আচরণ বিধি ভেঙ্গেছেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্তে আসবে কমিশন।