• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

সাম্প্রদায়িক বিজেপি, মিম পার্টিকে রুখতে পারে একমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি: অধীর

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে প্রয়ােজন একটি শক্ত, সমর্থ, শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (File Photo: IANS)

সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে প্রতিহত করতে, রুখতে এবং পরাস্ত করতে পারে একমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি। ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে প্রয়ােজন একটি শক্ত, সমর্থ, শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি। বুধার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের উত্তরে মিম এবং বিজেপি’কে একসঙ্গে আক্রমণ করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীর চৌধুরী। 

জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে বসে এদিন লােকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির প্রচলন ছিল না। আমরা গর্ব করে সারা দেশের মানুষের কাছে বলতাম, চেয়ে দেখাে পশ্চিমবঙ্গের দিকে, যেখানে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি, জাতপাতের রাজনীতি কোনটাই বাংলার মানুষকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু আজ ক্রমশ সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির নাগপাশে আমরা জড়িয়ে যাচ্ছি। আজকে হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি হবে। কাল আসবে জাতপাতের রাজনীতি। যেটা উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আপনারা দেখে থাকেন। 

ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮০ শতাংশের উপরে। যেখানে মুসলমান জনসংখ্যা ১৪-১৫ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই হিন্দু সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঠেকানাের জন্য যদি কেউ মনে করে একটা মুসলমান সাম্প্রদায়িক দল তৈরি করা দরকার-তাহলে তারা ভুল করবে। কেউ যদি মনে করে থাকে, হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করে তার প্রতিষেধক হিসাবে মুসলমান সাম্প্রদায়িক দল কার্যকরী হবে। এক্ষেত্রেও তারা ভুল করবে। কারণ আজকের ক্ষমতাশালী বিজেপি পার্টি এটাই চাইছে, ভারতবর্ষের হিন্দুদের জন্য যে পার্টিটা হবে, সেই পার্টিটার নাম হবে বিজেপি। জনসংখ্যার এই বিচারে কখনও মুসলমান সমাজ আপনারা যদি মনে করেন কোনও মুসলমান সাম্প্রদায়িক শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হবেন, তাহলে কিন্তু আখেরে সারা ভারতবর্ষের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপি পার্টির হাত সব থেকে বেশি শক্তিশালী করা হবে। সাম্প্রদায়িক বিজেপি-কে প্রতিহত, রুখতে এবং পরাস্ত করতে দরকার ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি।

অধীর চৌধুরী এদিন আরও বলেন, একশাে বছর ধরে বিজেপি পার্টির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঠেকিয়ে রেখেছিল ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি। ভারতবর্ষের উদার রাজনীতি। ভারতবর্ষের এই ধর্মনিরপেক্ষ ও উদার রাজনীতি পরিচালনা করেছে জাতীয় কংগ্রেস। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি শুধুমাত্র জাতীয় কংগ্রেস। আমি একথা বলছি না। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে সবচেয়ে বড়াে শক্তির নাম ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। ইতিহাস একথা বলছে। 

তাই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মােকাবিলা করতে আরেকটা সাম্প্রদায়িক শক্তি নয়। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মােকাবিলা করতে একটা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি দরকার। যে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির তলায় হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান সব ধর্মই থাকবে। যেমন একদিন ছিল। সেই জায়গা দুর্বল হলে আখেরে বিজেপি পার্টির হাত শক্তিশালী হবে। ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে প্রয়ােজন একটি শক্ত, সমর্থ, শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি।