গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে বিবেচনা করার আর্জি নিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানি হবে আজ মঙ্গলবার। তার আগেই সােমবার গঙ্গাসাগর নিয়ে নবান্নে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, এবছর মেলায় আনন্দ করার পাশাপাশি অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। তিনি তীর্থযাত্রীদের অনুরােধ জানান, সবাই যেন মাস্ক পরে থাকেন। কারাে মাস্ক না থাকলে রাজ্য সরকার তাদের মাস্ক দেবে। সাধ্যমতাে স্যানিটাইজারও দেওয়া হবে। তবে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং মানতে হবে সব পুন্যার্থীদের।
এই বছর ৮ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। পুন্যকালের সময় ১৪ জানুয়ারি (ভাের ৬:০২) থেকে ১৫ জানুয়ারি (ভাের ৬:০২) পর্যন্ত। কোভিড মহামারীর জন্য এবার মেলায় ঢােকার মুখে ১৩ টি মেডিকেল স্ক্রিনিং পয়েন্ট থাকবে। সমসংখ্যক আরটিপিসিআর টেস্টি সেন্টার থাকবে। ছ’শাে বেডের কোভিড হাসপাতাল এবং ছ’টি ওয়ারলেস সেন্টার তৈরি করা হয়েছে মেলায়।
এছাড়া থাকছে আটটি সেফ হােম, এগারােটি কোয়েন্টাইন সেন্টার এবং পাঁচটি আইসােলেশন সেন্টার। সাগর বন্ধু নামে আটশাে জনের একটা টিম গড়া হচ্ছে যারা সবাইকে কোভিড বিধি সম্বন্ধে সচেতন করনে।
এছাড়া মাইকিং, হাের্ডিং-এরও বন্দোবস্ত থাকছে মেলায়। কোভিড ওয়াচ সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। কোভিড সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডারের জন্য। কোভিড ছাড়া অন্য রােগেরও চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে মেলায়। ভিড় সামলানাের জন্য হাজারেও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা, ছাব্বিশটি ড্রোন থাকবে।
পরিবহণের সুবিধের জন্য উপযুক্ত পরিমাণে যানবাহণ থাকবে সাগরমেলায়। মেলা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, পর্যাপ্ত পানীয় জল, আইন শৃঙ্খলার বজায় রাখার জন্য রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখছে মেলায়। মুখ্যমন্ত্রীর আশা, অতিমারী সত্ত্বেও এবার মেলায় তিরিশ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই মেলাই হয়ে উঠবে মহামানবের মিলনক্ষেত্র।