দিল্লি – প্রথম ভারতীয় হিসেব আল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল প্যাটেল চার বছরের মেয়াদে ফিফা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য হতে চলেছেন। ফেডারেশন সূত্র থেকে সোমবার বলা হয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন থেকে প্রফুল প্যাটেল যে নির্বাচিত হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ৬ এপ্রিল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে চলেছে। এই নির্বাচন যারা জিতবেন তাদের মেয়াদ হবে ২০১৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত। একইসঙ্গে এএফসি কংগ্রেসও অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে প্রফুল প্যাটেলের ফিফাতে যাওয়ার খবর প্রচারিত হওয়া মাত্রই ট্যুইটারে বিভিন্ন মন্তব্য শুরু হয়ে গিয়েছে। সুনীত বারারিয়া নামে একজন মন্তব্য করেছেন, উঃ! একদিকে যখন ভারতীয় ফুটবলের মান দিনের পর দিন নেমে চলেছে তখন অন্যদিকে প্রফুল প্যাটেলের আয় দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। শুভেন্দু চ্যাটার্জি নামে আর একজন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারত যা কিছু অর্জন করতে পেরেছে তা শুধু প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির জন্য। কারণ তিনি ছিলেন ফিফার ঘনিষ্ঠ।এদেশে জাতীয় লিগ শুরু হয়েছে দাশমুন্সির জন্যই। বিক্রম ভাণ্ডারি নামে আর একজনের মন্তব্য এই দুর্নীতিগ্রস্ত কুকুরটিকে বাছা হল কি জন্য ও তো ফিফাকে এয়ার ইন্ডিয়ার মতোই ডুবিয়ে দেবে এবং বিশ্বকাপ ট্রফিকে তাঁর মেয়েকে উপহার হিসেবে দিয়ে দেবে।
আটজন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন নির্বাচিত হবেন এবং তারমধ্যে প্রফুল প্যাটেল একজন এটা নিশ্চিত। ফিফা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য হওয়ার জন্য তার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ছিল ডেডলাইন যারমধ্যে ফিফার সদস্য দেশগুলিকে তাদের মনোনয়ন জমা দিতে হয়েছে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের নির্বাচনী কমিটি প্রার্থীদের যোগ্যতা পরিক্ষা করার পর ফিফা রিভিউ কমিটিও প্রার্থীদের যোগ্যতা বিচার করে রেখেছে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের নির্বাচক কমিটি নির্বাচন সংগঠিত করা এবং তা পরিচালনার ব্যাপারে সবরকমভাবে দায়ী থাকবে। ফিফা গভন্যান্স কমিটি ফিফা কাউন্সিল সদস্যদের নির্বাচনে মনিটরিং করার জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। ফিফা কাউন্সিল সদস্যদের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে যারা দাঁড়িয়েছেন তারা হলেন সাউথ এ আজিজ অল মোহানাদি (কাতার), খালিদ আওয়াদ অ্যালথেবিট (সৌদি আরব), মারিয়ানো ভি আরানেটা জুনিয়ার (ফিলিপাইন), চুং মং জিউ (কোরিয়া রিপাবলিক), ডু ঝাওকাই (চিন), প্রফুল প্যাটেল (ভারত), মেহদি তাজ (ইরান) এবং হোজো তাসিমা (জাপান)।