বিষেণ সিং বেদির চিঠি বিতর্কের মাঝেই সােমবার ডিডিসিএ’তে উন্মােচন করা হল প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির মুর্তির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর-সহ আর ও অনেকেই। তবে সৌরভের রাজনীতিতে যােগদান নিয়ে যে গুঞ্জন, সেই নিয়ে মুখ খুললেন না বিসিসিআই সভাপতি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যে অনেকেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। এ দিন বক্তব্যের শুরুতেই অমিত বলেন, সৌরভ আসছেন গম্ভীর থাকবে জানতে পেরেই তিনি আর লােভ সামলাতে না পেরে চলে এলেন।
যদিও এই একটা লাইন ছাড়া তার ভাষণের আর কোন শব্দ চয়ন নিয়ে এ দিন হইচই হয়নি। এ দিন প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ করেন অমিত। প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবনের নানা সাফল্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নানা স্মৃতিও তুলে আনেন তিনি।
পাশাপাশি ক্রিকেট প্রশাসনে জেটলির ভূমির ভূয়সী প্রশংসা শােনা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায়। সৌরভও জেটলির প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানমঞ্চে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ বলেন, “ত্রিকেট খেলার সঙ্গে দু’ধরনের মানুষ যুক্ত থাকেন। এক যাঁরা ক্রিকেট খেলেন আর দুই, যাঁরা ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। তাঁদের অনেক অবদান থাকে। এজন্যই আমরা এই মূর্তির উন্মোচন করছি।
প্রসঙ্গত, এ দিন প্রয়াত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ৬৮ তম জন্মবার্ষিকী। এদিন অমিত আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিকে নতুন দিশা দিয়েছিলেন অরুণ জেটলি। এ দেশে ক্রিকেটে পরিকাঠামাে তৈরি করেছিলেন জেটলি। আই পি এল শুরুর সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অরুণ জেটলি আইপিএল নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখতেন।
আইপিএল নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব পেয়েছি ওঁর কাছে, স্মৃতিচারণা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। অরুণ জেটলি সংসদের গরিমা কখনও ক্ষুন্ন করেননি। অরুণ ছিলেন আমার বড় ভাইয়ের মতাে। তিনি যখন ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যায় পড়েছেন তখন তার হাত ধরে তাকে তুলে এনেছেন জেটলি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ত্রিকেট অ্যাসােসিয়েশন ( ডিডিসিএ)-র চেয়ারম্যান পদে ছিলেন জেটলি। তাঁর মুর্তি স্থাপিত হয়েছে ফিরােজ শাহ কোটলায়। এ দিন ৬ ফুট দীর্ঘ সেই মুর্তির উদ্বোধন হল।