বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটে সিলমােহর দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এই খবর জানিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সােনিয়া গান্ধি এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় এবার আসন সমঝােতা নিয়ে আলােচনা শুরু হবে।
অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে অক্টোবরেই সায় দিয়েছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। নভেম্বরে একাধিক রাজ্যের দলীয় সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধি। তার মধ্যে ছিলেন অধীরও।
দলীয় সূত্রে খবর, সেই সময়েই বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অধীর। তখনই ঠিক হয়েছিল, সােনিয়া গান্ধির সবুজ সঙ্কেত পেলেই আসন সমঝােতা নিয়ে আলােচনা শুরু করবে দল। বিহার নির্বাচনে কংগ্রেস শিবিরের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে সেই সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা দেরি হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সিলমােহর দিলেন সােনিয়া।
অধীর চৌধুরী টুইট করে জানান, বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে বৃহস্পতিবার সায় দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল-বিজেপি দুই শাসকদল বাংলার সর্বনাশ করছে এটা সবাই বুঝছে। বাংলার স্বার্থেই এই দুই শক্তিকে পরাস্ত করতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএম এবং বামপন্থীরা এ বিষয়ে মনস্থির করেছে। এআইসিসির সিদ্ধান্ত রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল বিরােধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।’
গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুল বিরােধী শক্তি ছিল বাম কংগ্রেসই। কিন্তু লােকসভা ভােটের পর থেকে শাসক দল তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। রাজনৈতিক কর্মসূচির দিক থেকেও তৃণমূল ও বিজেপি অনেক এগিয়ে রয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভােটে জোট করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিল বাম এবং কংগ্রেস উভয় শিবিরই। জোটের দখলে গিয়েছিল ৭৬ টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস ৪৪ টি এবং বামেরা ৩২ টি আসন পেয়েছিল। তারপর গত বছর লােকসভা ভােটেও দুই দল জোট বেঁধে লড়েছিল। তবে তাতে তেমন সাফল্য আসেনি।