সােমবার থেকে শুরু হয়ে গেল কৃষকদের রিলে অনশন। অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে এই অনশন। নভেম্বর শেষ থেকে দিল্লি সীমান্তে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছেন মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা দাবি মােদি সরকারের নতুন কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
বারবার কেন্দ্রের সঙ্গে বসেও কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে আসেনি। রবিবার ৪০ জন কৃষক নেতাকে চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বিবেক আগরওয়াল। তাতে জানানাে হয়েছে কৃষকদের সাহায্য করার জন্য খােলা মনে সমস্ত পদক্ষেপ করতে তৈরি কেন্দ্রীয় সরকার। আন্দোলনকারীদের উদ্বেগ ও দাবিদাওয়ারও একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে করে তারা আলােচনায় বসতে চান, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
এদিকে কৃষকরা অনড়। তারা স্থির করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাতের সময় থালা বাজাবেন তারা। ২৭ ডিসেম্বর রয়েছে সেই অনুষ্ঠান। দেশবাসীকে তাদের প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকরা। অনশনের পাশাপাশি আগামী দিনে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করবে কৃষক সংগঠনগুলি।
প্রতি বছর ডিসেম্বরে ভারতে পালিত হয় কৃষক দিবস। ওই দিন দেশের সমস্ত কৃষককে দুপুরের খাবার না খাওয়ার জন্য অনুরােধ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের রাকেশ তিকাইত বলেছেন, এই কিসান দিবসে দেশের সমস্ত কৃষককে এক বেলার খাবার না খাওয়ার অনুরােধ করছি। যাঁরা গােটা জাতিকে খবার জোগান দেন, তারাই ক্ষুধার্ত থাকেন। কারণ সরকারের কৃষক বিরােধী পদক্ষেপ। আমি অনুরােধ করছি, ওই দিন রান্না বন্ধ রেখে কৃষকদের আন্দোলনে যােগ দিতে।