• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কৃষক বিক্ষোভে ফের শহীদ, সিঙ্ঘু সীমান্তে মৃত্যু আন্দোলনরত প্রবীণের

কৃষক বিক্ষেভে সামিল এক প্রবীণের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি- হরিয়ানা সীমানা সিঙঘুর উষায় টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে এই প্রবীণের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আন্দোলনরত প্রবীণ কৃষকরা (ছবি: SNS Web)

কৃষক বিক্ষেভে সামিল এক প্রবীণের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি- হরিয়ানা সীমানা সিঙঘুর উষায় টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে এই প্রবীণের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ যদিও পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপাের্টের পরেই তা জানা যাবে। এই শীতের মরশুমে খােলা আকাশের নীচে আন্দোলন চালিয়ে বছর সত্তরের এই মানুষটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কৃষক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দোলনের শুরু দিন থেকে ছিলেন এই প্রবীণ কৃষক। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক সংগঠন গুরি ডাকা দিল্লি চলাে অভিযানে সামিল হয়ে পাঞ্জাব থেকে তিনি আসেন দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে। মঙ্গলবার কুড়ি দিন হয়ে গেল এই আন্দোলনের। আরও অনেকের মতাে বয়স উপেক্ষা করে পরিবার ছেড়ে খােলা আকাশের নিচেই কাটাচ্ছিলেন এই প্রবীণ আন্দোলনকারী। প্রবীণ এই কৃষকের আকস্মিক মৃত্যুর খবর তার পাঞ্জাবের মােহালির বাড়িতে পাঠানাে হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে কৃষক মৃত্যুর খবর পেয়েই দিল্লি পুলিশের একটি টিম সিঙ্ঘ সীমানায় আসে। মৃতদেহটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে মোহালির এই প্রবীণের মৃত্যু কি কারণে হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক কর্তা এই কৃষক মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পাঞ্জাবের এই কৃষকের আগে আন্দোলনরত আরও এক কৃষক মারা গিয়েছেন। সেই অর্থে মােহালির এই কৃষক আন্দোলনের দ্বিতীয় শহিদ। এক সপ্তাহ আগে, গত মঙ্গলবার তিকরিতে বছর বত্রিশের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই তরুণ কৃষকের বাড়ি ছিল হরিয়ানায়। জানা যায় অজয় মুর নামে ওই কৃষকও আন্দোলনে শরিক ছিলেন।

তিকরি সীমান্তে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ জানিয়ে যাচ্ছিলেন । সােনেপতের বাসিন্দা অজয়ের মৃত্যু হয় ঘুমের মধ্যে । তিকরির টিডিআই । পার্কের কাছে ঘুমােচ্ছিলেন । পােস্ট মর্টেমের প্রাথমিক রিপাের্টে মৃত্যুর জন্য ঠাণ্ডা আবহাওয়াকেই দায়ী করা হয়েছে । খােলা পার্কে কয়েকটি রাত কাটিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ।

কৃষক আন্দোলনের তিন সপ্তাহ কাটলেও এখনও পর্যন্ত কোনাে রফসূত্র বের হয়নি। পাঁচ দফা বৈঠকের পরেও রফসূত্র অধরাই থেকে গিয়েছে। কৃষক নেতারা আইন বাতিলের দাবিতে অনড়। কেন্দ্র ১৩ টি সংশােধনী প্রস্তাব দিলে ও কৃষক নেতারা তাতে কর্ণপাত করেননি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ফের আলােচনায় বসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।