• facebook
  • twitter
Wednesday, 27 November, 2024

প্রধান বিচারপতির মা’কেও ছাড়ল না প্রতারক 

তাপসের বিরুদ্ধে অভিযােগ, মুক্তা বােবদের বৃদ্ধ বয়সের সুযােগ নিয়ে সে জালিয়াতি শুরু করে। ভাড়া বাবদ পাওয়া টাকার পুরাে অংশ তাপস কখনওই জমা করত না।

প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবড়ে। (File Photo: IANS)

প্রতারণার শিকার হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বােবদের মা মুক্তা বােবদে। এই ঘটনাতে বােবদে পরিবারে এক কেয়ার টেকারকে আড়াই কোটি টাকা চুরির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনাতে অভিযুক্ত তাপস ঘােষ নামে ওই কেয়ারটেকারকে নাগপুরের সীতাবুন্ডি থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে। নাগপুরের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, তদন্তের ভার তাদের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ডিসিপি বিনীতা শাহু বিষয়টি দেখছেন।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বােবদে পরিবারের আকাশবাণী স্কোয়ারে ‘সিজনস লন’ নামের একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িটি বিয়ে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হত। ২০০৭ সালে মুক্তা বােবদে ওই বাড়িটির কেয়ারটেকার হিসাবে তাপস ঘােষকে নিয়ােগ করেন। এর জন্য প্রতি মাসে তাঁকে বেতন দেওয়া হত। এছাড়া বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানের বুকিং করাতে পারলে অতিরিক্ত কিছু আয় হত তাপস ঘােষের। 

তাপসের বিরুদ্ধে অভিযােগ, মুক্তা বােবদের বৃদ্ধ বয়সের সুযােগ নিয়ে সে জালিয়াতি শুরু করে। ভাড়া বাবদ পাওয়া টাকার পুরাে অংশ তাপস কখনওই জমা করত না। লকডাউনের সময় ক্লায়েন্টরা যখন বুকিং বাতিল করে টাকা ফেরত চায়, তখনই জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। কারণ তাপস ক্লায়েন্টদের টাকা ফেরত দিতে পারছিল না। যার ফলে তারা মুক্তা বােবদের কাছে এই বিষয়ে অভিযােগ জানাতে থাকে। 

তখন বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানতে পারা যায়, গত দু’বছর ধরে এই জালিয়াতি করছে তাপস। এইভাবে সে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাপসের এই জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসার পর মুক্তা বােবদে আগস্ট মাসে পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযােগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাপস ঘােষকে তদন্তের খাতিরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। খতিয়ে দেখা হয় ২০১৩ সাল থেকে ওই বাড়ি বুকিংয়ের সমস্ত নথিপত্র। তখনও দেখা যায় তাপস ঘােষ ও তাঁর স্ত্রী আড়াই কোটি টাকা চুরি করেছেন। এই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তবে টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।