জামিন নয়, ধৃত ভারতীয় হিরে ব্যবসায়ীকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। পিএনবি অর্থ জালিয়াতি কান্ডে সেন্ট্রাল লন্ডন ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ধৃত নীরব মোদির শুনানিতে যোগ দেওয়ার জন্য সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের একটি টিম লন্ডনে পৌঁছেছে। দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের এইচএমপি ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে বন্দি পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি আজ ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দিয়ে ফের জামিনের আবেদন করেন। ওয়েস্ট মিনিস্টার কোর্টের মুখ্য ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনট তাঁর জামিনের আবেদনটি খারিজ করে দেন।
সেন্ট্রাল লন্ডন ব্যাঙ্কের শাখায় তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করেছিলেন। গোপন খবর পেয়ে স্কটল্যান্ড পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। প্রথম জামিনের আবেদনের শুনানির সময় তার আইনজীবি ৫০০,০০০ পাউণ্ড সিকিউরিটি বন্ড জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বন্ডের পরিবর্তে তাঁর মক্কেলের ওপর কঠোর শর্ত চাপানো হয় তাহলে কোনও আপত্তি নেই।কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ ফের তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
মুখ্য ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনট পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আওতায় ভারতে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পিএনবি জালিয়াত কান্ডে নীরব মোদির বিরুদ্ধে ওয়েস্ট মিনিস্টার কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করবেন ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসাররা। ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে প্রকাশ্যে বহুদিন দেখা যায়নি। কিন্তু তাঁকে সম্প্রতি লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। এক ব্রিটিশ সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু নো কমেন্টস বলে এড়িয়ে গেছিলেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র । ইডি আর সিবিআইর অনুরোধে গোপনে ট্র্যাক রেখে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনই তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানা হয়নি।
উল্লেখ্য, নীরব মোদি দেশ ছাড়ার পর ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ভেঙ্গে গুড়িঁয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল রিসর্ট। ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর বাংলো। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কাছে থাকা কোটি কোটি টাকার পেইন্টিং নিলামে তুলেছে আয়কর দফতর। মঙ্গলবার আয়কর দফতর মুম্বাইয়ের জে কে ব্যাঙ্কোয়েটে এই নিলাম করে। এই ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে শিল্পী রাজা রবি বর্মার একটি অয়েল পেন্টিং। এছাড়া রয়েছে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরীর একটি শিল্পকর্ম। এতদিন নীরব মোদির হেফাজতে থাকা ৬৮টি চিত্র নিলাম হল ৫৯.৩৭ কোটি টাকায়।