একটা নয়, দুটো নয় – অরুণাচলের দাবিকে জিইয়ে রাখতে পশ্চিমাংশে বুম লা পাসের পাঁচ কিলােমিটারের মধ্যে তিনটি গ্রাম তৈরি করেছে আগ্রাসী চিন। শুধু অরুণাচল সীমান্ত নয়, লাদাখ সীমান্ত নিয়েও ভারতের সঙ্গে চিনের সংঘাত ১৯৬২ সাল থেকে চলে আসছে। সাম্প্রতিক উপগ্রহ থেকে পাওয়া চিত্র রিপাের্টে ( ২০২০, ২৮ নভেম্বর ) স্পষ্ট দেখা গেছে।
পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশে ভারত -চিন-ভুটানের ত্রিদেশীয় সংযােগস্থলের নিকটবর্তী বুম লা পাসের পাঁচ কিলােমিটারের মধ্যে চিন তিনটি গ্রাম তৈরি করেছে। একটা গ্রামের থেকে দ্বিতীয় গ্রামের দুরত্ব এক কিলােমিটার। ৫০টি কাঠের ঘর শণাক্ত করা গেছে লাল রঙের ছাদ দেখে। পিচ ঢাকা রাস্তা দিয়ে প্রত্যেকটি গ্রামকে সংযুক্ত করা হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ওই অঞ্চলে একটা গ্রাম ছিল। ২০ টা কাঠের ঘর ছিল।
চিন বিশেষজ্ঞ ডক্টর ব্রহ্মা চেলানি বলেন, ‘নতুন নয়, আগেও চিন এমন কৌশল নিয়েছে। ভূখন্ডের দাবিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বেজিং দক্ষিণ চিন সাগরে মৎস্যজীবীদের পাঠিয়ে, হিমালয়ে ভারতের অংশে পশুপালকদের পাঠিয়েছে। সেভাবে চিন অরুণাচলে নিজেদের দাবিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে হান চাইনিজ ও কমিউনিস্ট পার্টির তিব্বতী সদস্যদের সীমান্ত লাগােয়া অঞ্চলে ওই গ্রামগুলােতে বসবাস করানাের কৌশল নিয়েছে।
ফলে, ভারত সীমান্ত দিয়ে চিনের বেআইনি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল। তিনি বলেন, এই এলাকাতেই ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে বেজিং প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সমস্যা তৈরি করেছে। অরুণাচল প্রদেশে সীমান্ত নিয়ে চি ভারত সমস্যা পুরােনাে। ওই অঞ্চলে গ্রাম নির্মাণ করে চিন ফের নিজেদের দাবিকে জিইয়ে রাখার লক্ষণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ডােকলাম থেকে সাত কিলােমিটার দূরে ভুটানের স্বাধীন ভূখন্ডে চিনের গ্রাম তৈরির উপগ্রহ চিত্র আসার কয়েক সপ্তাহ পর নতুন উপগ্রহ চিত্রে অরুণাচল সীমান্তে চিনের গ্রাম তৈরির ছবি পাওয়া গেছে। পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের সময় চিন ওই গ্রামগুলি নির্মাণ করেছিল। উপগ্রহ চিত্রের রিপাের্টে দেখা গেছে, ওই গ্রামগুলি চিনের ভূখন্ডের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।