শুক্রবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেচ, পরিবহণ ও জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর ছিল শুভেন্দুর অধীনে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও ই-মেল করে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
সন্ধ্যায় শুভেন্দুর ইস্তফা মঞ্জুর করে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশে রাজ্যপাল তা গ্রহন করেছেন। শুভেন্দুর ইস্তফা পত্র গ্রহন করে রাজ্যপাল একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সেচ, পরিহন ও জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর আপাতত মুখ্যমন্ত্রী দেখভাল করবেন। এই দফতর গুলি মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্ত্রীপদ থেকেইস্তফা দিলেও শুভেন্দু এখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে যদি তিনি দল ছাড়েন তা হলে সে ক্ষেত্রে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
এদিকে সাতজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে নিয়ে শুভেন্দু পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য বৈঠকে বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমাে। শুভেন্দু যাতে ইস্তাফা পত্র প্রত্যাহার করে নেন তার জন্য অনুরােধ করা হয়েছিল এমনটাই জানা যাচ্ছে। যদি শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু দল ছাড়েন তাহলে রণকৌশল কি হবে তা নিয়েই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। সন্ধ্যা নাগাদ এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সর্বভারতীয় তথা রাজ্য যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানাে পদত্যাগপত্রে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আমি মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব এটি গ্রহন করা হয়। একই সঙ্গে এই চিঠিই- মেল মারফত রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছি। আমি খুব ধন্য যে রাজ্যের প্রশাসন ও রাজ্য আমাকে এই মন্ত্রিত্ব পদে নিয়ােগ করেছিল এবং আমি যথাসাধ্য নিজের প্রতিশ্রুতি রাখার চেষ্টা করেছি। রাজ্যের মানুষকে সেবা করার সুযােগ করে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী। আপনাকে ধন্যবাদ।’
শুভেন্দু অধিকারী বিষয় নিয়ে দলের আগামীর কৌশল কী হতে পারে, তা নিয়ে নির্দেশ ও চুড়ান্ত সিদ্ধান্তও তৃণমূল সুপ্রিমাে নেবেন শুভেন্দুর হাতে ছিল ৪ টি দফতর। বৈঠকে ওই দফতরগুলি বণ্টন হতে পারে। সূত্রের খবর, পরিবহণ দফতর দেওয়া হতে পারে ফিরহাদ হাকিমকে। সেচ দফতর পেতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।