সিপিএম লােভী, বিজেপি ভােগী, টিএমসি ত্যাগী। করােনার জেরে গত প্রায় ৮ মাস পর প্রথম প্রকাশ্য জনসভায় বাঁকুড়ার শুনুকপাড়ি হাট ময়দানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের সবকটি প্রধান বিরােধী রাজনৈতিক দলকে এভাবেই বিধলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বিরােধীরা এ রাজ্যে একটি আসনও পাবে না বলে তিনি দাবি করেন। সিপিএমের লজ্জা নেই বিজেপির পায়ে পড়েছে বলেও তিনি তীব্র কটাক করেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ৪০ শতাংশ বেকার বাড়িয়েছে। কয়লাখনি বেচে দিচ্ছে। ডিএ বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা সুদে খাটিয়ে ৩ মাস পর দিচ্ছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি নীতির সমালােচনা করে বলেন- চাষীদের আলু পিয়াজ লুঠ করছে। বিজেপিকে দেশের সবথেকে বড় অভিশাপ দাবি করে ওই দলকে জব্দ করার নিদান দেন মমতা।
আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যকে বিরােধী শূন্য কারার আশ্বাস দেন তিনি। আগামীদিনে সিপিএম কংগ্রেস ও বিজেপি নির্মূল হবে বলেও তিনি দাবি করেন। এদিন বিজেপিকে মিথ্যার ডাস্টবিন বলে তীব্র কটাক্ষ করেন।
শুভেন্দু ইস্যুতে সম্প্রতি সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য জুড়ে দেখা দিয়েছে দলবদলের হিড়িক। এদিন শুনুক পাহাড়ির সভামঞ্চ থেকে সেই দলবদলুদের নিশানা করলেন মমতা।
তিনি সাফ জানান কর্মী হিসাবে আমিই রাজ্যের সর্বত্র অবজার্ভার। কাজের চাপ বেশি পড়ছিল বলে কিছুদিন আলগা দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারি কাজকর্মের মতাে দলের উপরও কড়া নজর রাখব। এরপর তৃনমুল নেত্রীর হুশিয়ারি দলে ধান্দা বাজ গােষ্ঠী আছে। তবে সেটা খুবই কম সংখ্যক। কিন্তু কে কোথায় যাচ্ছেন কার সঙ্গে রাতের অন্ধকারে দেখা করছেন তা সবটাই আমার জানা। দলের নিচুতলার কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা- আপনারাও লক্ষ্য রাখুন।