করােনা সংক্রমিত সঙ্কটজনক রােগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা বীরভূমে একমাত্র ডি-ডিমার পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই কেন্দ্রটি হচ্ছে বােলপুরের লায়েকবাজারে বােলপুর মহকুমা হাসপাতালের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যে কোভিড হাসপাতাল গড়ে তােলা হয়েছে সেখানেই।
এজন্য জেলার করােনা চিকিৎসা সংক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত পার্থসারথি ভট্টাচার্য কলকাতা থেকে জেলায় এসে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতন্ত্রে আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলােচনাও করে গিয়েছেন। আর তারই মধ্যে ওই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন করােনা আক্রান্ত এক বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে যাওয়ায় রীতিমতাে শােরগােল শুরু হয়ে গিয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পালিয়ে যাওয়া ওই করােনা আক্রান্ত রােগীর সন্ধান পায়নি পুলিশ।
ওই হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াও সেখানকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্যকর্মী, একজন অফিসার-সহ কনস্টেবল, হােমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে সাতজন সব সময়ই কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন। তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে ওই করােনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে যেতে পারল তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই করােনা হাসপাতালটি যেখানে রয়েছে, সেই লায়েকবাজার এলাকাতেই বাড়ি ওই বিচারাধীন বেপাত্তা হয়ে যাওয়া বন্দির। মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযােগে সে গ্রেফতার হয়ে সিউড়ি জেলে বন্দি ছিল। সেখানে করােনা আক্রান্ত হওয়ায় তাকে বােলপুর লায়েকবাজারের ওই কোভিড হাসপাতালে এনে রাখা হয়েছিল।
এদিকে করােনা আক্রান্ত ওই বেপাত্তা হয়ে যাওয়া বন্দি পালিয়ে গিয়ে কতজন মানুষের সংস্পর্শে আসছেন, তা নিয়েও এখন দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে স্বাস্থ্য দফতর।