পাকিস্তান ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিল গুগল, ফেসবুক ও টুইটার। বিশ্বের এই তিন বৃহত্তম টেক ও সােশ্যাল মিডিয়া সংস্থার এমন হুঁশিয়ারিতে অস্বস্তিতে ইমরান খানের সরকার। ইন্টারনেটে যা কিছু উপলব্ধ, তার সবই এবার থেকে সেন্সর করার নয়া নিয়ম চালু করেছে ইসলামাবাদ। আর তাতেই চটেছে এই সব শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট সংস্থাগুলি।
শুক্রবার এআইসি-র তরফে এক টুইটে এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। গুগল, ফেসবুক ও টুইটারও এর সদস্য। তাদের টুইটে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে তাতে সাফ জানানাে হয়েছে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৈরি পাক সরকারের কিছু নিয়মের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংস্থাগুলিকে আক্রমণ করা হচ্ছে।
কী বলা হয়েছে নতুন পাক আইনে? তাতে ডিজিটাল কন্টেন্ট সেন্সর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। যাকে বাকস্বাধীনতা রােধ করার প্রয়াস হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
উদ্বগ প্রকাশের সঙ্গেই পাক সরকারকে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে অনুরােধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তান যদি প্রযুক্তিতে লগ্নির জন্য আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠতে চায় তাহলে তাদের বাস্তবানুগ ও পরিষ্কার আইন করতে হবে। যাতে ইন্টারনেট থেকে লাভবান হতে পারে সাধারণ মানুষ।
পাকিস্তানের আইনকে ‘প্রিভেনশন অফ ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্ট ২০১৬’ বা পেকা আইনের অন্তর্গত করা হয়েছে। এআইসি জানাচ্ছে, এই কড়া আইনের ফলে মানুষের কাছে ইন্টারনেট আর ততটা মুক্ত থাকবে না।
ফলে একদিকে বাকি বিশ্বের থেকে পাকিস্তানের ডিজিটাল অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি সােশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণের মতাে পদক্ষেপের জন্য জোর করা হবে। ফলে গুগল, ফেসবুক কিংবা টুইটারের মতাে সংস্থার পক্ষে ব্যবসা কিংবা সাধারণ গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা দেওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়বে।