দেশে করােনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবুও উৎসবের মরসুমে কোথাও কোথাও বেড়েছে সংক্রমণ যা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। যেমন দিল্লিতে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের হার নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। তালিকায় রয়েছে গুজরাটের বৃহত্তম শহর আহমেদাবাদের নামও।
করােনা সংক্রমণ রুখতে এবার তাই সেখানে ৫৭ ঘণ্টার ‘সম্পূর্ণ লকডাউনে’র ডাক দিল প্রশাসন। শুক্রবার রাত ন’টা থেকে শুরু হয়েছে সেই কারফিউ। যা আগামী সােমবার ভাের ছ’টা পর্যন্ত চলবে।
পাশাপাশি এনআইএ সূত্রে দাবি করা হয়, গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল জানিয়েছে, শনিবার রাত নটা থেকে ভাের ছ’টা পর্যন্ত রাজকোট, সুরাত, বরােদায় নাইট কারফিউ জারি থাকবে।
এনআইএ সূত্রে দাবি করা হয় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, শনিবার রাত দশটা থেকে ভাের ছ’টা পর্যন্ত ভােপাল, গােয়ালিয়র, বিদিশা এবং রাতলাম শহরে নাইট রফিউ জারি থাকবে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরের গোড়া থেকেই করােনার প্রকোপ বেড়েছে আহমেদাবাদে। গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ২৩০ জন করােনা আক্রান্ত হয়েছেন এখানে। শহরে অ্যাকটিভ করােনা রােগীর সংখ্যা ২৮৪৫।
প্রশাসন তাই করােনা রুখতে কড়া পদক্ষেপের নেয়। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি জানাচ্ছেন, কেবল দুধ আর ওষুধের দোকান ছাড়া আর সব কিছু বন্ধ থাকবে ওই সময়কালে। পাশাপাশি হাসপাতালে বড়ানাে হচ্ছে কোভিড বেডের সংখ্যাও । রাতারাতি বাড়ানো হয়েছে ১৩০০ বেড। ফলে শহরে মোট কোভিদ বেডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮০০। করোনা সংক্রমনের শৃংখলকে ভাঙতে বৃহস্পতিবার অনেক রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়