তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সৌজন্যে স্বল্প পােশক পরিহিত কিশােরীদের অশ্লীল নাচ। কালিয়াচকের নম্বর ব্লকের গােলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গােলাপগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র এক কিলােমিটার দূরে এমন ঘটনার পরও পুলিশ নিশ্চুপ।
গােলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সানাি ইয়াসমিন তার স্বামী জাইসুদ্দিনের নেতৃত্বে, এমন অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়েছে বলে অভিযােগ। গােলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমাইল পুর গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা সদস্য বকুল মিয়া স্টেজে উঠে মেয়েদের সাথে নান্স করছে ও টাকা বিতরণ করছে ধরা পড়েছে তেমন ছবিও। দুইদিন ধরে চলছে এমন অনুষ্ঠান।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই তৃণমূল নেতা এই ঘটনা নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া না দিলেও, একজন তৃণমূলের নেতা কিভাবে এ ধরনের কাজ করে দলের অন্দরেই উঠেছে প্রশ্ন। গােটা ঘটনা নিয়ে শাসকদলের সমালােচনায় নেমেছে বিজেপি।
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি স্বাধীনতা নষ্ট করেছে তৃণমুল নামক এই দলটা। রাজ্য জুড়ে এরা অপসংস্কৃতি আমদানি করেছে। যেখানে এই মহামারিতে মানুষ খেতে পারছেনা টাকা নেই মানুষের কাছে। কত মানুষ কাজ খুইয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ যেখানে সােশ্যাল ডিসটেন্স মেনে সবকিছু পালন করতে হচ্ছে শারদ উৎসব থেকে দীপাবলি। সেই সময় লােকজন জমিয়ে এ ধরনের আসর বসানাে এবং কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নর্তকীদের উদ্দেশ্যে ছােড়া। এত কাটমানি তুলেছে সেই টাকা গুলাে তাে কিছু করতে হবে এভাবে ফুর্তি করে ওরাচ্ছে। গােটা ঘটনা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমুলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বস বলেন, এই ধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না। দলীয় ভাবে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন জেগেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কিভাবে এত মানুষকে একত্রিত হয়। এধরনের আসর বসাতে দেয় পুলিশ। যদি পারমিশন না নিয়ে থাকে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এনিয়ে জেলার পুলিশ সুপার অলােক রাজোরিয়া আর কোনাে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।