• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষকদের দায়িত্বে একাধিক রদবদল

বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সামনে। সেই কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব বদল করল বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি (File Photo: IANS)

বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সামনে। সেই কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব বদল করল বিজেপি নেতৃত্ব। বাংলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি’র তথ্য প্রযুক্তি সেলের দায়িত্বে থাকা অমিত মালব্যকে। 

আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে বাংলায় সব শক্তি নিয়ে ঝাপাতে তৈরি গেরুয়া শিবির। তাই রাজ্যের দায়িত্বে থাকা দলে নেতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ভূপেন্দ্র যাদব যিনি বিহারের দায়িত্বে ছিলেন বিহারের পাশাপাশি গুজরাতের দায়িত্বও সামলাবেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মুরলীধর রাওকে।

মনিপুরের দায়িত্বে ছিলেন রাম মাধব। তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সম্বিত পাত্রকে। আগামী বছর অসমে নির্বাচন। সেখানে বিজেপির পর্যবেক্ষ করা হয়েছে বৈজয়ন্ত জয় পান্ডাকে। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা রাধা মােহন সিংকে সাহায্য করার জন্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে সত্য কুমার সুনীল ওঝা ও সঞ্জীব চৈরাসিয়াকে।

মহারাষ্ট্র, গােয়া, তামিলনাড়ুর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। দিল্লিতে দায়িত্বে থাকা তরুণ চুগ এবার জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখ ও তেলেঙ্গানাতে বিজেপির পর্যবেক্ষরে ভূমিকা পালন করবেন। বিজেপির আর এক সাধারণ সম্পাদক ডি পুরন্দেশ্বরী ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের দায়িত্ব সামলাবেন।

পঞ্জাব, চন্ডিগড় ও উত্তরাখন্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির আরও এক সাধারণ সম্পাদক দুষ্যন্ত গৌতমকে। ঝাড়খন্ড ও অরুণাচল প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ সাকিয়াকে। অন্ধ্রপ্রদেশের দায়িত্ব আবার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরনকে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সুনীল দেওধর। 

শুক্রবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজ্যগুলিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নাম ঘােষণা করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুনীল দেওধরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনােদ কুমার সােনকারকে। তিনি উত্তর প্রদেশের সাংসদ। 

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পুজোর আগে ত্রিপুরার রাজনীতিতে হইচই চলছিল। মন্ত্রিত্ব খােয়ানাে সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে নালিশ করে এবং মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবি জানায়।

সে সময় অভিযােগ উঠেছিল এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা তথা পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর। এরপরই শুক্রবার তাঁকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখনই বিপ্লব শিবিরের তরফে বলা হচ্ছিল পুজোর পর সব হাওয়া মিলিয়ে যাবে। তাই হল। রাজনৈতিক মহলের মতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বদলের পর আত্মবিশ্বাস বাড়বে বিপ্লব দেব শিবিরের। বােঝাতে চাইবেন, দিল্লির নেতৃত্ব তাদের পক্ষেই।