মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধান, তার মধ্যেই ভােল বদল করলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী । হঠাই বিজেপি নিয়ে নিজের আগের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন মায়াবতী।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে বিষােদগার করে জানিয়েছিলেন, ‘সমাজবাদী পার্টিকে হারাতে প্রয়ােজনে অন্য বিরােধীদের, এমনকী বিজেপিকেও সমর্থন করব।’ কিন্তু সােমবারই বহুজন সমাজবাদি পার্টির সর্বময় নেত্রী জানিয়ে দেন, ‘বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার আগে রাজনীতি থেকে অবসর নেব।’
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভার ১০ টি আসনে নির্বাচনের জন্যে মায়াবতীর বিজেপিকে সমর্থনের ঘােষণায় রীতিমতাে শােরগােল পড়ে গিয়েছিল। এক সংবাদ সংস্থায় বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, সমাজবাদী পার্টিকে পরাজিত করতে তিনি এবং তাঁর দলের সকলে রাজ্যসভার ভােটে প্রয়ােজনে বিজেপিকে ভােট দেবে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের লােকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে তার জোট গঠন করা উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
তবে, মায়াবতীর এই অবস্থান মেনে নিতে পারেননি দলের একাংশ। এমনকী দলের অন্দরে অনেকেই চেয়েছিলেন, রাজ্যসভায় আলাদা প্রার্থী না দিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকেই সমর্থন করুক বিএসপি। কিন্তু তা করেননি মায়াবতী। প্রার্থী ঘােষণা করেন। কিন্তু সেই প্রার্থীর প্রতিবাদ করেন দলেরই ৭ বিধায়ক। তাঁরা যােগাযােগ করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। এরপরই ওই সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড কনে মায়াবতী।
এই ঘটনার পরেই মায়াবতীকে কোনঠাসা করতে ‘বিজেপি’র বি টিম’ বলে আক্রমণ শানায় কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। এদিন তাই চাপের মুখে পড়ে মায়াবতীকে বলতে হয়েছে, ভবিষ্যতের কোনও নির্বাচনেই বিজেপির সঙ্গে আমাদের জোট হতে পারে না। আমাদের দলের আদর্শই হল সর্বধর্ম সেবা। কিন্তু বিজেপি আপাদমস্তক সাম্প্রদায়িক দল। ওঁদের সঙ্গে জোট করার আগেই আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেব।
যদিও মায়াবতী একইসঙ্গে অভিযােগ করেছেন, বিএসপির দিকের মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন কেড়ে নিতেই তাঁকে বিজেপির দোসর বলা হচ্ছে। যা আদতে একেবারেই সত্যি নয়। মায়াবতীর এই ভােল বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপির দিকে ঝোঁকার পরই কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়ছেন মায়াবতী, ফাটল ধরছে তাঁর দলেও। ফলে পরিস্থিতি বিচার করেই বিজেপির থেকে দূরত্ব বাড়ানাের চেষ্টা করলেন তিনি।