বিহারে ভােটের মাঝেই পুলওয়ামা নিয়ে ফের উত্তেপ্ত জাতীয় রাজনীতি। বিরােধীদের বিরুদ্ধে পুলওয়ামা নিয়ে স্বার্থের রাজনীতি করার অভিযােগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। নাম না করে বিজেপি’কে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিনটি রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে পালিত হয়। শনিবার সর্দার প্যাটেলের ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গুজরাতের স্ট্যাচু অব ইউনিটির পাদদেশ থেকে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পুলওয়ামা প্রসঙ্গ টেনে মােদি বলেন, আজ অফিসারদের কুচকাওয়াজ দেখতে দেখতে পুলওয়ামার কথা মনে পড়ে গেল। সন্তানহারা হয়ে গােটা দেশ যখন বিহ্বল হয়ে পড়েছিল, তখন কিছু মানুষ সেই শােকে সামিল ছিলেন না। পুলওয়ামার হামলা নিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির রাস্তা খুঁজছিলেন। দেশ এই কথা কোনও দিন ভুলবে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, গত কয়েকদিনে প্রতিবেশী দেশ থেকে খবর এসেছে..যেভাবে দেশের সংসদে পুলওয়ামা হামলার কথা মেনে নিয়েছেন তারা তাতে তাদের আসল চরিত্র সামনে এসে গিয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে তারা কতটা নিচে নামতে পারেন, পুলওয়ামার ঘটনা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও পুলওয়ামা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবি জানান। যার প্রেক্ষিতে শনিবার নাম না করে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন শশী থারুর।
টুইটারে তিনি লিখেছেন– আমি এখনও বােঝার চেষ্টা করছি, কংগ্রেস কেন ক্ষমা চাইবে? সরকার সেনা জওয়ানদের সুরক্ষিত রাখবে এই প্রত্যাশার জন্য? জাতীয় শােকে রাজনীতি না করে দেশের পতাকা নিয়ে মিছিল করার জন্য? শহিদ পরিবারগুলি প্রতি সমবেদনা জানানাের জন্য?
লােকসভা নির্বাচনের আগে গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি। হামলায় ৪০ জন জওয়ান প্রাণ হারান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের সাফল্যের ঢাক পেটাতে গিয়ে সম্প্রতি পুলওয়ামা হামলায় নিজেদের ভূমিকার কথা সরাসরি মেনে নিয়েছে পাকিস্তান।
গত বৃহস্পতিবার সে দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন- ঘরে ঢুকে ভারতকে মেরেছি আমরা। ইমরান খানের নেতৃত্বেই পুলওয়ামায় সাফল্য এসেছে। তার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই অবশ্য তড়িঘড়ি সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওই মন্ত্রী।