• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

দিল্লিতে করােনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ছাড়িয়েছে

দিল্লিতে এমশ করােনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত তিনদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।

প্রতিকি ছবি (File Photo: AFP)

দিল্লিতে এমশ করােনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত তিনদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুক্রবার ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৫৮৯১। তার আগে বৃহস্পতিবার সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৫৭৩৯। এখনও পর্যন্ত মােট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮১ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। 

গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে করােনায় মৃতের সংখ্যা ৬৪৭০ দাঁড়িয়েছে, একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৪৩৩ জন অর্থাৎ মােট সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪২ হাজারের বেশি এবং করােনা অ্যাকটিভ রােগীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৩৬৩ জন। 

করােনায় রাজধানীতে সুস্থতার হার ৮৯.৮ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৭ শতাংশ। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বৃদ্ধি পেতে থাকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, দিল্লিতে কি করােনার তৃতীয় ওয়েভ শুরু হল? সে সম্পর্কে কিছু না জানানাে হলেও প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, বেশি করে নমুমা সংগ্রহের কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে দিল্লিতে দূষণের মাত্রাও বেড়েছে। 

এই দুই সমস্যা নিয়ে দিল্লিবাসীকে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। সত্যেন্দ্র জৈন বলেছিলেন, আমাদের হাসপাতালে ৩৫ শতাংশ শয্যা ভর্তি রয়েছে। যতদিন না ভ্যাকসিন আসছে, ততদিন মাস্ক’কেই ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক পড়লে করােনা ও দূষণ উভয় দিক দিয়ে মানুষ সুস্থ থাকবেন সেকথাও তিনি বলেন। 

দিল্লির বড় কোভিড কেয়ার হাসপাতাল এলএনজেপি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আইসিইউ’তে রােগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে বড় অংশ দূষণের কারণে। শুক্রবার পর্যন্ত এলএনজেপি হাসপাতালের ২০০ আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১৪ টি শয্যা খালি ছিল। দিল্লির হাসপাতালগুলিতে মােট ১২৪৪ টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে ৭৮৩ টি শয্যা অর্থাৎ ৬৩ শতাংশ শয্যা ভর্তি। 

এলএনজেপি হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সুরেশ কুমার জানান, তাপমাত্রা কম হলে করােনা সংক্রমণ প্রকট হয়। আগে প্রতিদিন আইসিইউতে ৪০-৫০ রােগী ভর্তি হত। কিন্তু শেষ চারদিনে সংখ্যা বেড়ে ৮০-৯০ হয়েছে। করােনা ও দূষণের কারণে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। ফলে মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার দিল্লির স্বাস্থ্যসচিব ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। দিল্লি সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি, উৎসবে জমায়েত ও মানুষ স্বাভাকি জীবনে ফিরে আসার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রের তরফে নমুনা পরীক্ষা ও আক্রান্তের উৎস সন্ধানের পরিমাণ বাড়ানাের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৮ অক্টোবর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তরফে এক রিপাের্ট দিয়ে জানান হয়, শীতকালে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার জন আক্রান্ত হবেন। তাদের মধ্যে ৩ হাজার আক্রান্তকে ভর্তি করার প্রয়ােজন পড়বে।