প্রথম দফায় ভােটদানের শুরুতেই বিপত্তি বিহারের ঔরঙ্গবাদের চিরায় একটি বুথের কাছ থেকে দু’টি আইইডি উদ্ধার হয়েছে। তবে কোনও অঘটন ঘটার আগেই আইইডি দু’টি নিষ্ক্রিয় করে দেয় সিআরপিএফের বম্ব স্কোয়াড। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হুলস্থূল বাঁধানাের লক্ষ্যেই সেগুলি রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তবে এর পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর পাহারায় সেখানে ভােটদান শুরু হয়েছে। দুপুর ১ টা পর্যন্ত ২৫.৩ শতাংশ ভােট পড়েছে সেখানে। বিহারে মােট ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বুধবার ৭১ টি আসনে প্রথম দফার ভােটদান চলছে। করােনা আবহে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে যাতে ভােটদান সম্পন্ন হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রথমে ঠিক ছিল প্রত্যেক বুথে সর্বাধিক ১৬০০ ভােটার ঢুকতে পারবেন। কিন্তু ভােটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তা কমিয়ে ১০০০ করা হয়েছে। তার জেরে বুথের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার ৩৭১। ভােটদানের সময়সীমাও ১ ঘণ্টা বাড়ানাে হয়েছে। সন্ধ্যা ৫ টার পরিবর্তে ৬ টা পর্যন্ত ভােটদান চলবে সেখানে।
করােনা পরিস্থিতিতে ভােট দিতে এসে যাতে সাধারণ মানুষ সংক্রমিত হয়ে না পড়েন, তার জন্য ইলেকট্রনিক ভােটিং মেশিনগুলিকে (ইভিএম) জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুথে উপস্থিত সমস্ত ভােটকর্মীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। থার্মাল স্ক্রিনিং, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান এবং জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বুথে। এ ছাড়াও ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাদের জন্য পােস্টাল ব্যালটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের মুখােমুখি নীতীশ কুমার এবং লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে চতুর্থবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নীতীশ। নির্বাচনী প্রচারে দুর্নীতিমুক্ত বিহার গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়লেও এই প্রথম একা হাতে নির্বাচনের যাবতীয় দায়দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তেজস্বী। নীতীশকে পরাজিত করতে অর্থনীতি এবং বেকারত্বকেই হাতিয়ার করেছেন তিনি। ক্ষমতায় এলে ১০ লক্ষের বেশি কর্মসংস্থানের সুযােগ তৈরি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ভােটদান শুরু হওয়ার আগে বিহারবাসীর উদ্দেশে টুইটারে তেজস্বী লেখেন, ‘আজ প্রথম দফায় ভােটদান। বিহারবাসীর কাছে অনুরােধ, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে নতুন বিহার গঠনের পক্ষে ভােট দিন। মহাজোটের সঙ্গে পরিবর্তনে শামিল হন।’
নীতীশ কুমার লেখেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে ভােটদান শুধুমাত্র অধিকার নয়, এক গুরুদায়িত্বও বটে। আপনাদের ভােট বিহারের উন্নয়নে গতি আনবে।’