সম্প্রতি কৃষি আইন নিয়ে দেশের মধ্যে যে হইচই শুরু হয়েছে তার অধিকাংশই শুরু করেছে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি। এর মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কৃষকদের মধ্যে সংশিষ্ট আইন নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে দেশের অধিকাংশ এই আইনের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে অর্ধেকের বেশি কৃষক এই আইন সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহালই নয়। তিনটি রাজ্যের মুলত পাঞ্জাবের কৃষকরা মনে করেন তাদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য রফতানির বিষয়ে আইনে সম্যকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ছেচল্লিশ শতাংশ মনে করেন বেসরকারি ফোরে স্থানীয় ব্যক্তি ও সংস্থার সুবিধার জন্যই এই আইন করা হয়েছে।
সমসংখ্যক কৃষক মনে করেন বহুজাতিক সংস্থার সুবিধার জন্যই কৃষকরা যাতে আরও সহজেই শােষণের শিকার হয় তার জন্যেই সরকার এই আইন করেছে। কৃষকরা মূলত যে তিনটি বিষয়ে বিরােধিতাকে সংহত করতে চান তা হল-
সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রকল্প উঠিয়ে দিতে চাইছে, সাতান্ন শতাংশ মনে করেন তাদের উৎপাদিত পণ্য অপেক্ষাকৃত নিম্ন মূল্যে বিক্রয়ে বাধ্য করা হবে, এবং আটত্রিশ শতাংশ মনে করেন কৃষকরা আরও বেশি করে চোরেদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন। বত্রিশ শতাংশ কৃষক মনে করেন বড় ব্যবসায়ীরা তাদের দাসে পরিণত করতে চায়।
সরকার কৃষকদের ক্ষোভের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, কিন্তু কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির কৃষকরাই মূলত সংক্ষিপ্ত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে। পাঞ্জাব, হরিয়াণা, হিমাচল প্রদেশ এই বিক্ষোভে শামিল। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের রাজ্যগুলির সাতাত্তর শতাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য সরকারি মান্ডি এবং এপিএমসি মাধ্যমে বিক্রি করেন। পশ্চিমে এর সংখ্যা হল প্রায় বিয়াল্লিশ শতাংশ।
পাঞ্জাব বিধান সভায় সংশ্লিষ্ট আইনের বিরুদ্ধে আইন পাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া আদালতেও আইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সে সরকারকে আদালতে এর সম্যক জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তবে আশার কথা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনের বিরােধিতা অজ্ঞতা ও ভুল বােঝার থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। সরকার সংশোধিত আইনের সমর্থনে উনষাট শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে এমএসপি প্রকৌশল যে সংশ্লিষ্ট আইনের বলে বাধ্যতামূলক তা দেখানাের চেষ্টা করবে। এটা মাথায় রাখতে হবে কৃষকরা মনে করেন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার তাদের ভালর জন্যই সব কাজ করে থাকে। ফলে এটা প্রমাণ করাই এখন উভয় সরকারের কর্তব্য।