দিল্লি, ২৩ মার্চ – শত্রুঘ্ন নন, পাটনা সাহিব লোকসভা আসনে রবি শঙ্কর প্রসাদকে দল প্রার্থী করতে চলেছে। বিহার শাসক জোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন বিজেপি’র রাজ্য শাখার প্রধান ভূপেন্দ্র যাদব। রাজ্যের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল এনডিএ জোট।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং’র আসনটি এলজিপি’কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেগুসরাই থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। মোতিহারি আসন থেকে রাধামোহন সিং, বক্সার থেকে অশ্বিনী কুমার চৌবে ও পাটলিপুত্র থেকে রাম কৃপাল যাদবকে প্রার্থী করা হয়েছে। এলজেপি নেতা রামবিলাস পাসোয়ানের কেন্দ্র হাজিপুর থেকে দলের সভাপতিকে প্রার্থী করা হবে।
ভারতীয় জনতা পার্টি নেতা ও মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘পাটনা আমার শহর। আমার জন্ম, পড়াশুনা এই শহরে। বড় হয়েছি, আইনজীবী হয়েছি। তাই নিজের শহরের প্রতি ভালোবাসা ও আবেগ রয়েছে। দল, প্রধানমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় সভাপতির প্রতি চির কৃতিজ্ঞ থাকব’। শুধু তাই নয়, ট্যুইট করে সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লক্ষণীয়, বলিউড অভিনেতা ও রাজনীতিক শত্রুঘ্ন সিনহাকে ভোটে দলের প্রার্থী করা হয়নি। দলে থেকেও প্রধানমন্ত্রী মোদির কড়া সমালোচনায় মুখর হওয়ার জন্য তিনি হাইকম্যান্ডের বিরাগভাজন হয়েছেন। আগের লোকসভা নির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপি’র টিকিটে পাটনা সাহিব কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়ে আসার পর তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনায় মুখর হন। শুধু তাই নয়, তিনি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে দেশের ২৫ লাখ চৌকিদারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি থাকছেন না জানিয়ে ট্যুইট করে লিখেছিলেন, ‘ভালোবাসার লোকের অভাব হবে না, কিন্তু ওই তালিকায় আমি নেই’।
তারপরই গুজব শুরু হয়, শত্রুঘ্ন সিনহা কি তাহলে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। তিনি স্পষ্ট করে না বললেও তাঁর ঘনিষ্ট সহযোগী জানিয়েছেন, শত্রুঘ্ন সিনহা কংগ্রেসে যোগ দেবেন। শুধু তাই নয়, পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে পাটনা সাহিবের সাংসদ ছিলেন।