• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পুজোমন্ডপে দর্শনার্থীদের ‘নাে এন্ট্রি’ দেখালা হাইকোর্ট

করােনা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে দুর্গাপূজা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় শােনালাে কলকাতা হাইকোর্ট।পুজোর মন্ডপের ভেতরে দর্শনার্থীদের কে ‘নাে এন্ট্রি' দেখালা হাইকোর্ট।

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

করােনা স্বাস্থ্যবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় শােনালাে কলকাতা হাইকোর্ট। পুজোর মন্ডপের ভেতরে দর্শনার্থীদের কে ‘নাে এন্ট্রি’ দেখালাে হাইকোর্ট। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পুজোর কেনাকাটার জন্য দোকান কিংবা শপিং মলে জনস্রোত দেখে বিচলিত হাইকোর্ট। তাই এইরুপ ভীড়ের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়ে রায় শােনালাে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিং বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

এই রায় কার্যকর করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসন এবং পুজো উদ্যোক্তাদের এখন থেকেই জনস্বার্থে প্রচার করতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সারারাজ্যে ৫০ হাজারের কাছাকাছি দুর্গাপূজা হয়। এদের মধ্যে এবারে ৩৪ হাজার পুজো সরকারি অনুদান প্রাপ্ত। কলকাতা মহানগরে হয় ৩ হাজারের বেশি পুজো।

সােমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দুর্গাপূজা বন্ধে জনস্বার্থ মামলায় রায়দান হয়। সেখানে প্রতিটি পুজোর মন্ডপে দর্শনার্থীদের ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি পুজো মন্ডপ কে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

করােনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে জনগণ কে আসন্ন দুর্গাপূজার ভার্চুয়াল কভারেজ দেখবার অনুরােধ জানানাে হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কে দোষ দেওয়া যায়না। যেখানে কলকাতা মহানগরে প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ লাখ দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে, সেখানে মাত্র ৩২ হাজার কলকাতা পুলিশ কি করবে? তাই এখন থেকেই পুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়দানের বিষয়বস্তু বিশেষত করােনা স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে পালনে প্রচার কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

সােমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের আলাদাভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রিপাের্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও তা জমা পড়েনি রাজ্যের তরফে। রাজ্যের পক্ষে পুজোর গাইডলাইন থাকলেও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোন প্রিন্ট নেই। আগামী ৫ নভেম্বর এর মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনাকে আলাদাভাবে রিপাের্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পুজো মন্ডপের ভেতর ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। যারা মন্ডপে প্রবেশ করবে তাদের তালিকা আগেভাগেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কে জমা দিতে হবে। তালিকার বাইরে কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেনা মণ্ডপের ভেতরে। ছােট কিংবা বড় প্যান্ডেলে বহিরাগত দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেনা।

প্যান্ডেলের সামনে এবং লাগােয়া এলাকায় ‘নাে এন্ট্রি’ বাের্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। লক্ষীপুজোর পর রাজ্যের এডভােকেট জেনারেল হলফনামা দেবেন। পাশাপাশি সরকারি অনুদান প্রাপ্ত দুর্গাপূজা কমিটি গুলিও হলফনামা জমা দেবে বলে হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছে। প্রতিটি পুজোর মণ্ডপ কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। ছােট পুজোয় ৫ মিটার এবং বড় পুজোয় ১০ মিটারের সামনে বারিকেড থাকবে। সেইসঙ্গে পুজোর মণ্ডপের সামনে রাস্তাগুলিতে ধাপে ধাপে ব্যারিকেড রাখতে হবে।