সাম্প্রতিক পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় পঞ্চান্ন জন সেনার মৃত্যু এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় সেনার আক্রমণ নিয়ে কংগ্রেস সদস্য সাম পিত্রোদার মন্তব্য ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সাম পিত্রোদা সন্ত্রাসী আক্রমণের কারণে কোনও দেশকে দায়ী করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন।’২৬/১১ সন্ত্রাসী আক্রমণের পরও এমনটাই হয়েছিল । কয়েকজন মাত্র ভারতে এসে নাশকতামূলক কাজ চালানোর জন্য সে দেশের সকল মানুষকেই দায়ী করা যায় না। আমি অন্তত এমনটা বিশ্বাস করি না’।
সাম পিত্রোদার এহেন মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ , পীযূষ গোয়েল প্রমুখ কড়া সমালোচনা করেছেন। বিদেশে কংগ্রেস দলের প্রধান এবং দলের ইস্তেহার কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং দলের সভাপতির অন্যতম বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা কংগ্রেসের হয়ে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস পালনের তোড়জোড় করছেন এবং ভারতীয় সেনা কর্মীদের আত্মত্যাগকে কোনও আমলই দিচ্ছেন না।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, বিরোধী ও বিজেপির মধ্যে পার্থক্য এখন পরিষ্কার। বিরোধীরা সেনাকর্মীদেরই সন্দেহ করে, কিন্তু আমরা সেনা শহিদদের আত্মত্যাগে গর্বিত। বিরোধীদের হৃদয় সন্ত্রাসীদের জন্য কাঁদছে, কিন্তু আমরা দেশের জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য মানুষ তাদের ভোটের মাধ্যমে কংগ্রেসকে একেবারেই পরাস্ত করবেন এবং সেটাই হবে কংগ্রেসের সংস্কৃতির প্রতি সার্জিকাল স্ট্রাইক। জনতা মাফ করবে না।
বালাকোটে বিমান হানা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদাকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ করে তিনি লিখেছেন, ‘বিরোধীরা সন্ত্রাস নিয়ে বরাবর প্রশ্ন তুলেছে। বার বার তারা অপমান করেছে আমাদের বাহিনীকে।’
ট্যুইটে নমো লিখেছেন ,’ভারতীয় বাহিনীকে অপমান করে কংগ্রেস সভাপতির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা কংগ্রেসের হয়ে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উদ্যাপন শুরু করে দিলেন। লজ্জা!’
‘জনতা মাফ নহি করেগি’ হ্যাশট্যাশ দিয়ে মোদি আরো লিখেছেন , ‘দেশ ইতিমধ্যেই যা জানে, এবার কংগ্রেসের রাজবংশের একনিষ্ঠ সেবক নিজেই সেটা স্বীকার করে নিলেন- কংগ্রেস সন্ত্রাসের জবাব দিতে অনিচ্ছুক। এটা নতুন ভারত। যে ভাষা সন্ত্রাসবাদীরা বোঝে, সেই ভাষাতেই আমরা তাদের জবাব দেব।’